বাংলা৭১নিউজ,(নাটোর)প্রতিনিধি:নাটোরের আত্রাই নদীতে বসানো অবৈধ সোঁতি জাল ও বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার অবৈধ সোঁতি জাল ও বাঁধ অপসারণে অভিযানে অংশ নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সিংড়া এলাকার জনসাধারণের কাছে আত্রাই নদীতে বসানো বন্যা সৃষ্ট অবৈধ সোঁতি জাল উচ্ছেদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
গতকাল শুক্রবার সিংড়া পৌর এলাকার ভাঙন কবলিত শোলাকুড়া এলাকা পরিদর্শন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বানভাসিদের প্রতিশ্রতি দেন আত্রাই নদীতে পাতা সকল অবৈধ সোঁতি জাল উচ্ছেদ করার; আজ সেটা বাস্তবায়ন করেছেন। এতে এলাকায় মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
সিংড়া থেকে বিলদহর পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে সৌঁতি জাল উদ্ধার এবং বাঁধ অপসারণ করা হয়। এসব সোঁতি বাধ অপসারণের সময় উদ্ধার করা শত শত বাঁশ ভাঙ্গলকবলিত শোলাকুড়া এলাকায় ভাঙনরোধে পাঠানো হয়।
এদিন তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন,আত্রাই নদীতে অবৈধ ও নিষিদ্ধ সোঁতিজাল ফেলে বন্যা সৃষ্টিকারীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ সোঁতি উচ্ছেদ ও নিয়মিত মামলা দিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে জনগণকে সাথে নিয়ে তিনি নিজে উচ্ছেদ অভিযানে নামবেন বলে এদিন ঘোষণা দেন। বাসভাসিদের কাছে দেয়া সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে শনিবার তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে নিজে সৌতি উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন। শনিবার সকালে সিংড়া পৌর এলাকায় প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন সংলগ্ন আত্রাই নদী থেকে প্রায় ২০টি নৌকা যোগে শত শত স্বেচ্ছাসেবক এবং নেতাকর্মী ও জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সোঁতি উচ্ছেদ অভিযানে নামেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
স্থানীয়রা জানান, এসব অবৈধ সোঁতিজালের কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উপজেলার কতিপয় কিছু সন্ত্রাসী নদীতে অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে পানির স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সোঁতি জালের কারণে পানির গতি পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বাঁধ ও রাস্তা ভেঙ্গে বন্যার সৃষ্টি করেছে। গত বুধবার সকালে পৌর এলাকার শোলাকুড়া বাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে প্রায় ১৭টি ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এসব পরিবার। এখনও বেশ কয়েটি বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। যাদের জমি ভাঙনের কবলে পরে পানিতে তলিয়ে গেছে সে সব জমিতে এখন আর ফসল আবাদও হবে না। প্রায় হাজার একর জমি এই ক্ষতির মুখে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এসব বানভাসি ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখাসহ মনিটরিং করা হচ্ছে। এই অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ,পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি