বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আত্মত্যাগী সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের পথই আমাদের সমৃদ্ধির পথ।
তিনি বলেন, ‘তিন হাজারেরও বেশি পুরনো আমাদের এই সভ্যতায় বঙ্গবন্ধু যে আধুনিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম দিয়েছেন, সেই চেতনা বুকে ধারণ করে আত্মত্যাগী সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের পথই আমাদের সমৃদ্ধির পথ।’
মন্ত্রী আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১৩ জন শহীদ সাংবাদিকের ছবি সম্বলিত স্মৃতিফলক উন্মোচনকালে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের দেশজ সংস্কৃতি, মনন ও গণমাধ্যমের বিকাশ অপরিহার্য। এজন্য জাতিকে সাম্প্রদায়িকতার আলখাল্লা থেকে মুক্ত হতে হবে।
ফলক উন্মোচনের আগে শহীদ সাংবাদিকদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসি আর বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকরা ছিলেন মসী। ৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকাররা তাদের প্রধান শত্রু হিসেবে বঙ্গবন্ধু, এদেশের জনগণ বিশেষ করে নারী এবং বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু হার না মানা সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।’
প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খানসহ গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিকদের মধ্যে সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, এ কে এম শহীদুল্লাহ (শহীদ সাবের), আবুল বাশার, শিবসাধন চক্রবর্তী, চিশতী শাহ হেলালুর রহমান, মুহম্মদ আখতার এবং সেলিনা পারভীনের ছবি সম্বলিত স্মৃতিফলকটি প্রেস ইনস্টিটিউটের দোতলার গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর এবং শহীদ সাংবাদিক তনয়া শমী কায়সার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও শহীদ সাংবাদিকদের স্মরণ করে বক্তৃতা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এন