সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখে ৮টি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
তারই অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার দুই প্রবেশমুখে সমাবেশ করবে বিএনপি। একটি হবে উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়ে মার্কেট সংলগ্ন মাঠে, অন্যটি যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে। বিকাল তিনটায় সমাবেশ দুটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
উত্তরার সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি থাকবেন। যাত্রাবাড়ীর সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রধান অতিথি ও আবদুল মঈন খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারা দেশে জেলা, মহানগর, থানা-উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে শরিক সমমনা বিভিন্ন দল ও জোটও পৃথক সমাবেশ করবে। এর মধ্যে ১২ দলীয় জোট বিকেল চারটায় রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন এলাকায়, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বেলা ৩টায় পুরানা পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে, একই সময়ে এলডিপি কারওয়ান বাজার এফডিসি-দলীয় কার্যালয়ের সামনে, গণঅধিকার পরিষদ (নুরুল হক) উত্তর বাড্ডা ওভার ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ শেষে রামপুরা অভিমুখে পদযাত্রা করবে এবং গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে।
কর্মসূচিতে পরিবর্তন
গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনেছে বিএনপি। এর মধ্যে ৩ অক্টোবরের কুমিল্লা-চট্টগ্রাম বিভাগের রোডমার্চের তারিখ পরিবর্তন করে ৫ অক্টোবর করা হয়েছে। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলায় সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ পরিবর্তনের কথা জানান।
পরিবর্তিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে রোডমার্চ অথবা সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্বঘোষিত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পেশাজীবী সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ৪ অক্টোবর করা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব এক দফা আন্দোলনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ শেষ করে বিএনপি। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ‘একদফা’ দাবিতে ১৫ দিনের গুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। এই কর্মসূচিতে যেমন নানামাত্রিক সমাবেশ থাকবে, তেমনি একাধিক রোডমার্চের কর্মসূচিও থাকবে বলে জানা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ