বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ‘মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া করেছেন আমাদের ঋণী, গায়েরও চামড়া কাটিয়া দিলেও সেই ঋণ শোধ হবে না জানি মা’ এ রকম অসংখ্য গান আমাদের আবেগিত করে প্রতিটি মুহুূর্ত।
আজ বিশ্ব মা দিবস।
‘মা দিবসের’ প্রচলন শুরু হয় প্রথম প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রতি বসন্তকালে একটি দিন দেবতাদের মা ‘রিয়া’, যিনি ক্রোনাসের সহধর্মিণী তার উদ্দেশ্যে উদযাপন করা হতো। ১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর পৃথিবীর দেশে দেশে মা দিবসটি পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে।
মা হচ্ছেন সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, দার্শনিক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। পৃথিবীতে আসার আগে সন্তান মায়ের গর্ভে তিলে তিলে বড় হয়। মায়ের দেহ থেকেই খাদ্য গ্রহণ করে। ইসলামে মায়ের মর্যাদা অসীম। মা’কে মহান আল্লাহুতা’য়ালা রাসূলে পাক হযরত মুহম্মদ সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পর সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন। হাদিসে বলা আছে– ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ নেপোলিয়ন বলেছিলেন– “আমাকে একজন ভাল মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভাল জাতি উপহার দেব।”
মাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। মায়ের প্রতি ভালবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। তারপরও বিশ্বের সকল মানুষ যাতে একসাথে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে সেজন্য আন্তর্জাতিক মা দিবস পালন করা হয়। প্রতিটি মায়ের মনের কথা যেমন,‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’।
বাংলা৭১নিউজ/সি