বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’। ২০১৪ সালের এই দিনে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে করা হয়েছে পরাধীন।
আজ সারাদেশের জেলা ও মহানগরগুলোতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালিত হবে। রিজভী জানান, এই দিবসে সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল ও নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবে। ৭ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ হবে। এসবের সব প্রস্তুতি চলছে।
এক সংবাদ সন্মেলনে রিজভী বলেন, প্রেসিডেন্টকে সব রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন। প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের একজন অভিভাবক। বর্তমান গণতন্ত্রহীন দেশে যেভাবে রক্তাক্ত পন্থায় নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে তাতে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ছাড়া আগামী দিনে কোনো নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে না, সেটি বাংলাদেশের জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
ইসি গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্টের আশাবাদের বাস্তব প্রতিফলন ঘটলে দেশের প্রতিটি জনগণ সেটিকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে স্বাগত জানাবে। বিএনপিও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে সেটিকে স্বাগত জানাবে।
রিজভী বলেন, সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয়, ঘরের ভেতরেও মানুষের নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, দোষারোপের রাজনীতি ছেড়ে নিজেদের ঘর সামলান। স্বৈরাচারী আচরণ পরিত্যাগ করে সভ্য ও সহনশীল আচরণ প্রদর্শন করুন। কারণ কত স্বৈরাচারের যুগ অস্তাচলে চলে গেছে।
২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর গত দুই বছর রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ শঙ্কা থাকলে এবারের চিত্র ভিন্ন কেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে রিজভী বলেন, ওই নির্বাচন বর্জনের উদ্দেশ্যই ছিল নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন।
এখন প্রেসিডেন্টের সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরির ওপর নির্ভর করছে বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করলে আমরা আন্দোলনে যাবো না। অন্যথায় পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে ভাববে বিএনপি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম