সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে রাজধানীতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ।
বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে এ পদযাত্রা শুরু হবে। এটি শেষ হবে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে। পদযাত্রা শুরুর আগে আবদুল্লাহপুরের পলওয়ে মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে বিএনপি।
জানা গেছে, বিএনপির এ পদযাত্রাটি আবদুল্লাহপুরের পলওয়ে মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে দিয়ে খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা ও সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ছিল বিএনপির দুদিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির প্রথম দিন। ওইদিন দলটির নেতাকর্মীরা গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার রায়সাহেবের বাজার পর্যন্ত পদযাত্রা করে। এতে সরকারবিরোধী সমমনা দল ও জোটগুলো সংহতি জানিয়ে অংশ নেয়।
প্রথম দিনের মতো আজ দ্বিতীয় দিনও বিএনপির সমমনা দল ও জোটগুলোর পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেবে। এরমধ্যে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, পুরানা পল্টনের কস্তুরী গলি থেকে লেবার পার্টি ও পুরানা পল্টন মোড় থেকে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট পদযাত্রা করবে।
দুপুর ১২টায় কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, একই জায়গা থেকে বিকেল ৪টায় পদযাত্রা করবে ১২ দলীয় জোট। বিকেল ৩টায় গণফোরাম (মন্টু–সুব্রত–সাইয়িদ) ও পিপলস পার্টি মতিঝিল নটরডেম কলেজ এলাকা থেকে পদযাত্রা করবে। একই সময়ে কারওয়ান বাজারের এফডিসি সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এলডিপির পদযাত্রা শুরু হবে।
এদিকে গতকালের মতো আজও তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে সমাবেশের পর ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ওই সমাবেশে বক্তব্য দিতে পারেন। বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ শোভাযাত্রা বের করবে।
এর আগে গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
এদিকে কর্মদিবসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গতকাল তীব্র যানজট দেখা যায়। এতে জনভোগান্তি চরম রূপ নেয়। গতকালের মতো আজও ঢাকার সড়কগুলোতে একই চিত্র দেখা যেতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি