বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ত্যাগের মহিমা ও উৎসবের আমেজে আজ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করবেন অন্যতম বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব। হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে থেকে শুরু হয় কোরবানির এই প্রচলন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ.) তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। ওই অনন্য ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির এ রেওয়াজ চালু হয়।
এদিকে, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় আরো একটি জামায়ত শুরু হয়েছে। এ জামাতে ইমামতি করছেন একই মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতী মুদীউদ্দীন কাসেম। এ ছাড়া ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, পদস্থ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁরই রাস্তায় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানি ও ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়ে আসছে। মুসলিম সমপ্রদায়ের অন্যতম প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। মুসলিমদের ধর্মীয় এ উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও দেশবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা দিয়ে সুশোভিত করা হয়েছে।
পাশাপাশি সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সকল কারাগার, সরকারি হাসপাতাল, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, সেফ হোম্স, দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্র এবং শিশু ও মাতৃসদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও বিনোদনমূলক বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সমপ্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ