মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: শিল্পমন্ত্রী উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে: ওবায়দুল কাদের এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৯ বাড়িওয়ালাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা শেরপুরে আগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র, ভাঙনে দিশেহারা নদীতীরের মানুষ দুই ঘণ্টার কোটা আন্দোলনে স্থবির ঢাকা বাংলাদেশ-ইইউর ৩ মি‌লিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চু‌ক্তি স্বাক্ষর কুমিল্লা আদালতে মামুনুল হক-খালেদ সাইফুল্লাহ প্রতিমন্ত্রী সিমিনের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ বিকাশ অ্যাপে প্রথমবার বিল পরিশোধে ৯০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট কুপন জরিমানা পরিশোধ করলেই গাড়ির কাগজ পৌঁছে যাবে ডাক বিভাগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে আ স ম রবের পাঁচ দফা একযোগে র‌্যাবের চার ব্যাটালিয়নসহ পাঁচ পরিচালককে বদলি কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন নেই, সমর্থন আছে: ফখরুল চুপিসারে ফেরেশতাদের কথা শুনে যা করতো জিনেরা ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় মামলা, আওয়ামী লীগ নেতা আটক বেনজীরের গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট পরিদর্শনে দুদক টিম সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যানচলাচল বন্ধ পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানা গেলো

আজ ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী, তুমি আছো অন্তরে মম

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০
  • ২৪৭ বার পড়া হয়েছে

♦সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ♦

 আজ ৫ই মে। ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এই  মহিয়ান ব্যক্তিটিকে স্মরণ করা হয় শ্র্রদ্ধার সাথে। ১৯৮২ সালের এই দিনে পূর্ব রামপুরা নিজ বাসভবণে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯২০ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে তার জন্ম।

ফুলঝুরি খান ছিলেন একজন বাঙালি যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী। তিনি একজন দক্ষ তবলা ও এসরাজ বাদক। যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও তিনি সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

তার প্রকৃত নাম ছিল ইয়ার রসুল খান। পিতা লতিফ রসুল খান এবং মাতা কমলা-উন-নেসা ছিলেন ফকির আফতাবউদ্দিন খানের কন্যা। তার মাতামহ আফতাবউদ্দিনের ছোট দুই ভাই প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান ও আয়েত আলী খান

ফুলঝুরি খানের তবলায় হাতেখড়ি হয় তার মাতামহ আফতাবউদ্দিন খানের নিকট। পরে আয়েত আলী খানের নিকট কিছুদিন তালিম গ্রহণ করার পর মাইহার রাজ্যে চলে যান এবং সেখানে মাতামহের ছোট ভাই ও সেখানকার রাজসভার সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর নিকট তবলার তালিম নেন। মাইহার রাজসভায় গুরু আলাউদ্দিন খাঁর সরোদ বাজানোর সাথে তার তবলা বাদন শুনে মুগ্ধ হয়ে মাইহারের রাজা তাকে ‘ফুলঝুরি’ উপাধি দেন। সেই থেকে তার নাম হয়ে যায় ফুলঝুরি খান।

ফুলঝুরি খান এসরাজ বাদনেও দক্ষতা অর্জন করেন। পাশাপাশি তারসানাই, সেতার ও পাখোয়াজ বাজানোতেও পারদর্শী ছিলেন। তিনি আলাউদ্দিন খাঁ ও খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্করের সাথে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। কিছুদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে যন্ত্রসঙ্গীতেরও শিক্ষক ছিলেন। চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে তার এসরাজ বাজানো শুনে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হন। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের সাথেও তার ছিল অনেক সখ্যতা।

ফুলঝুরি খান পরে শিলং চলে যান এবং সেখানে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপন করে শিষ্যদের সঙ্গীত শিক্ষা দেন। ১৯৫১ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বেতারকেন্দ্রে নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বেতারে তারসানাই বাজাতেন।

ফুলঝুরি খান কয়েকটি চলচ্চিত্রের সঙ্গীতের জন্য এসরাজ বাজান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল মুখ ও মুখোশ (১৯৫৬), আকাশ আর মাটি (১৯৫৯), রাজধানীর বুকে (১৯৬০), নতুন সুর (১৯৬২), সূর্য স্নান (১৯৬২), ও সূর্যগ্রহণ (১৯৭৬)।

উল্লেখ্য, ফুলঝুরি খানের পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পাঁচ ছেলের মধ্যে মোঃ ইউনুস খান সরোদ বাদক, মোঃ জাফর খান সেতার বাদক, মোঃ ইউসুফ খান সরোদ বাদক, মোঃ ইলিয়াস খান তবলা বাদক, এবং মোঃ খায়রুল ইসলাম খান তবলা বাদক। তবে তার সন্তানদের মধ্যে ইউনুস খান, শামসুন্নাহার হাসিনা ও খায়রুল ইসলাম খান চিরদিনের জন্য এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com