শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি উন্নয়নের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাশিয়ার মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয় ওই বিমান শেষ দিনে ভিড় বেড়েছে, পছন্দের ফ্ল্যাট খুঁজছেন অনেকেই বিআরটিএ নির্ধারিত সিএনজি অটোরিকশার জমা ৯০০ টাকা কার্যকরের দাবি ৬ মাস ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর হওয়া উচিত : প্রধান উপদেষ্টা মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ নিহত ২ জাহাজে ৭ খুন: বিচারের দাবিতে কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা পঞ্চগড়ে টানা চারদিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ইয়েমেনের বিমানবন্দরে হামলা, অল্পের জন্য বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান গান পাউডার ব্যবহার হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখতে ‘বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ’ পানির ট্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন আ. লীগের ‘ভাইরাল নেত্রী’ কাবেরী পাবনায় দাঁড়িয়ে থাকা করিমনে ট্রাকের ধাক্কায় তিন শ্রমিক নিহত, আহত ৫ নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যেখানে চলবে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা

আজ ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী, তুমি আছো অন্তরে মম

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০
  • ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

♦সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ♦

 আজ ৫ই মে। ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এই  মহিয়ান ব্যক্তিটিকে স্মরণ করা হয় শ্র্রদ্ধার সাথে। ১৯৮২ সালের এই দিনে পূর্ব রামপুরা নিজ বাসভবণে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯২০ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে তার জন্ম।

ফুলঝুরি খান ছিলেন একজন বাঙালি যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী। তিনি একজন দক্ষ তবলা ও এসরাজ বাদক। যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও তিনি সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

তার প্রকৃত নাম ছিল ইয়ার রসুল খান। পিতা লতিফ রসুল খান এবং মাতা কমলা-উন-নেসা ছিলেন ফকির আফতাবউদ্দিন খানের কন্যা। তার মাতামহ আফতাবউদ্দিনের ছোট দুই ভাই প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান ও আয়েত আলী খান

ফুলঝুরি খানের তবলায় হাতেখড়ি হয় তার মাতামহ আফতাবউদ্দিন খানের নিকট। পরে আয়েত আলী খানের নিকট কিছুদিন তালিম গ্রহণ করার পর মাইহার রাজ্যে চলে যান এবং সেখানে মাতামহের ছোট ভাই ও সেখানকার রাজসভার সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর নিকট তবলার তালিম নেন। মাইহার রাজসভায় গুরু আলাউদ্দিন খাঁর সরোদ বাজানোর সাথে তার তবলা বাদন শুনে মুগ্ধ হয়ে মাইহারের রাজা তাকে ‘ফুলঝুরি’ উপাধি দেন। সেই থেকে তার নাম হয়ে যায় ফুলঝুরি খান।

ফুলঝুরি খান এসরাজ বাদনেও দক্ষতা অর্জন করেন। পাশাপাশি তারসানাই, সেতার ও পাখোয়াজ বাজানোতেও পারদর্শী ছিলেন। তিনি আলাউদ্দিন খাঁ ও খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্করের সাথে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। কিছুদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে যন্ত্রসঙ্গীতেরও শিক্ষক ছিলেন। চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে তার এসরাজ বাজানো শুনে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হন। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের সাথেও তার ছিল অনেক সখ্যতা।

ফুলঝুরি খান পরে শিলং চলে যান এবং সেখানে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপন করে শিষ্যদের সঙ্গীত শিক্ষা দেন। ১৯৫১ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বেতারকেন্দ্রে নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বেতারে তারসানাই বাজাতেন।

ফুলঝুরি খান কয়েকটি চলচ্চিত্রের সঙ্গীতের জন্য এসরাজ বাজান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল মুখ ও মুখোশ (১৯৫৬), আকাশ আর মাটি (১৯৫৯), রাজধানীর বুকে (১৯৬০), নতুন সুর (১৯৬২), সূর্য স্নান (১৯৬২), ও সূর্যগ্রহণ (১৯৭৬)।

উল্লেখ্য, ফুলঝুরি খানের পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পাঁচ ছেলের মধ্যে মোঃ ইউনুস খান সরোদ বাদক, মোঃ জাফর খান সেতার বাদক, মোঃ ইউসুফ খান সরোদ বাদক, মোঃ ইলিয়াস খান তবলা বাদক, এবং মোঃ খায়রুল ইসলাম খান তবলা বাদক। তবে তার সন্তানদের মধ্যে ইউনুস খান, শামসুন্নাহার হাসিনা ও খায়রুল ইসলাম খান চিরদিনের জন্য এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com