ইতালির মিলান শহরের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম মালদিনির। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে, ফুটবল পরিবারেই জন্ম। বাবা ছিলেন এসি মিলানের একজন লিজেন্ড।
তবে মালদিনির ভালোবাসা ছিল প্রতিপক্ষ ক্লাব জুভেন্তাসের প্রতি। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসে মালদিনির ভালোবাসায়, প্রেমে পড়তে শুরু করেন নিজ জন্মভূমির ক্লাব এসি মিলানের। এরপর তার বাবা একদিন জানতে চান কোন ক্লাবের হয়ে ট্রায়াল দিতে চান তিনি। পাওলো সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল মিলান, অবশ্যই আমি আমার নিজের জন্মভূমির হয়ে খেলতে চাই।
ট্রায়ালের দিন ঠিক হয়ে গেল, পাওলো খুব সকালে তাঁর বুট নিয়ে মাঠে পৌছে গেল। কোচরা তাঁর পজিশন সম্পর্কে জানতে চাইল। কিন্তু মালদিনির কোনো সঠিক পজিশন ছিল না সে উত্তর দিল ‘আমার পছন্দের তেমন কোনো পজিশন নেই।’ ক্লাবে তখন রাইট উইং এর অভাব ছিল কোচরা পাওলো কে ঐ পজিশনে খেলাল এবং মুগ্ধ হয়ে ঐ দিনই তাকে সাইন করিয়ে নিল।
১৯৮৫ সালের ২০ জানুয়ারি মাত্র ১৬ বছর বয়সে উদিনেসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সিরি-আ তে অভিষেক হয় তার। মৌসুমে ওই এক ম্যাচেই সুযোগ হয়েছিল তার। অবশ্য পরের সিজন থেকেই নিয়মিত মাঠে নামেন এসি মিলানের হয়ে। ৩ নম্বর জার্সিতে পাকাপোক্ত করেন লেফট ব্যাক।
১৯৮৮ সালে আসে পাওলো মালদিনির জীবনের অন্যতম মাহেন্দ্রক্ষণ। মিলানের হয়ে দুর্দান্ত খেলার পুরস্কার হিসেবে ডাক আসে ইতালির জাতীয় দল থেকে। যুগোস্লাভয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ইতালির জার্সিতে মাঠে নামেন তিনি।
১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষে ২০০২ সালে জাতীয় দলকে বিদায় জানায় পাওলো মালদিনি। ২০০৮-৯ মৌসুম শেষে বিদায় জানান সব ধরনের ফুটবল থেকে।
পাওলো মালদিনি ছিলেন ডিফেন্স সম্রাট। মুভমেন্ট, পজিশনিং, মার্কিং, ক্রস, অ্যাটাকারদেরসঙ্গে ট্রান্জিশনাল প্লের কাজ করা, গতি দিয়ে লেফট ফ্ল্যাংকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের জন্যও হুমকি ছিলো মালদিনি।
আজ সেই অন অফ দ্যা গ্রেটেস্টের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন পাওলো মালদিনি।
তার অর্জন সমূহ
দলীয়:
সিরি অঃ ৭
ইতালিয়ান কাপঃ ১
ইতালিয়ান সুপার কাপঃ ৫
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগঃ ৫
উয়েফা সুপার কাপঃ ৫
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপঃ ৩
ব্যক্তিগত:
ওয়ার্ল্ড সকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ঃ ১
উয়েফা বর্ষসেরা ক্লাব ডিফেন্ডারঃ ১
সিরি এ বর্ষসেরা ডিফেন্ডারঃ ১
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ অল-স্টার টিমঃ ২
উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ টিম অফ দ্য টুর্নামেন্টঃ ৩
ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশঃ ১
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ম্যান অফ দ্য ম্যাচঃ ১
ফিফা ১০০
ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার (দ্বিতীয় স্থান): ১
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার (তৃতীয় স্থান): ২
অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলারঃ ১
UNICEF ইউরোপিয়ান ফুটবলার অফ দা সিজন : ১
ইএসএম টিম অফ দা ইয়ার : ৪
ফিফা বিশ্বকাপ ড্রিম টিম : ১
ফিফা একাদশ : ১
উয়েফা টিম অফ দি ইয়ার : ২
উয়েফা প্রেসিডেন্ট’স অ্যাওয়ার্ড : ২০০৩
ফিফা অর্ডার অফ মেরিট :২০০৮
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ অ্যাসিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড :২০০৯
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ/সূত্র: ফুটবল খোর