বিগত দিনগুলোর মতোই আজও সকাল থেকেই নেতাকর্মীশূন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। চতুর্থ দফার অবরোধেও কার্যালয় ঘিরে নেই কোনো নেতাকর্মীর আনাগোনা। এমনকি অবরোধের সমর্থনেও কার্যালয়ের সামনে কিংবা এই এলাকা কোনো ধরনের কর্মসূচিও পালন করেননি তারা। তবে বরাবরের মতোই কার্যালয়টির সামনে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।
২৯ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ দিন ধরেই তালাবদ্ধ কার্যালয়টির দুইটি কলাপসিবল গেট। নেতাকর্মীরা দূরে থাক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরাও এই কয়দিনের মধ্যে কার্যালয়ের ধারেকাছে আসেননি। কার্যালয়টির ডান পাশের পূবালী ব্যাংকের সামনে এবং বাম পাশে হোটেল ভিক্টরির সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। রাখা আছে ব্যারিকেডও। কার্যালয়টির সামনে ফুটপাতটিও বন্ধ। মানুষজন চলাচল করছেন সড়ক দিয়ে। রিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া নেই কোনো গণপরিবহন। আশপাশের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ।
অন্যদিকে চতুর্থ দফা সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে ঝটিকা মিছিল করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির অবরোধে সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন জানিয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে, গ্রেপ্তার নির্যাতন করে লাভ হবে না। দেশের ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে বাইরে রেখে এ দেশে আর কোনো পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
জনগণের সামনে আর কোনো অপশক্তিই টিকবে না বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতমাসের শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপির সমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এর আগেও গত ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় দফার অবরোধ কর্মসূচি শেষে আজ চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ