বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার থেকে শুরু করে আজও শনিবার ভোর থেকেই মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাট হয়ে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবি মানুষ।
সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ, স্পীডবোট ও ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় লাইন দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কেটে লঞ্চ ও স্পীডবোটে উঠছেন। তবে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরর অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী ।
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, দঞ্চিনাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াতের জন্য কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট ব্যবহার করেন। ঈদে যাত্রী সেবায় ২০টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ, দুই শতাধিক স্পিডবোট রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষনিক কাজ করছেন।
যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কথা মাথায় রেখে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ, র্যাব, আনসার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষনিক কাজ করছেন। এদিকে লঞ্চ ও স্পীডবোটে জায়গা না পেয়ে অনেকেই কর্মস্থল রাজধানীতে যোগ দিতে ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, আজ সকাল থেকে যাত্রীদের ঢল নেমেছে ঘাট এলাকায়। বাধ্য হয়ে আমরা শিমুলিয়া থেকে খালি ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোট এনে যাত্রী পারাপারে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ফেরিতেও যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ পুলিশ, র্যাব, বিআইডব্লিউটিসি, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার যৌথভাবে কাজ করে আমাদের সহায়তা করছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস