রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই, ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি।

বাংলা৭১নিউজ,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: রিক্ত আমি, সিক্ত আমি দেওয়ার কিছু নাই- আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই’। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ময়মনসিংহবাসীর ভোট চেয়ে এভাবেই বক্তৃতা শেষ করেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার ময়মনসিংহ যান প্রধানমন্ত্রী। সফরে তিনি বিভাগের চার জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। শেষে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। দারিদ্র সীমা এখন যে অবস্থায় আছে, তার থেকে থেকে আরও ৫-৬ ভাগ কমিয়ে আনবো। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল, বছরটিকে আমরা ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছি। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।

উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তুলে ধরে ময়মনসিংহবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা এখানেই থেমে থাকবো না। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। শত বছরে বাংলাদেশে কিভাবে গড়ে উঠবে, সে পরিকল্পনাও আমরা নিয়ে রেখেছি। ২১০০ সালের বাংলাদেশ কিভাবে উন্নত হবে সে পরিকল্পনাও আমাদের নেওয়া আছে।

তিনি যোগ করেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রয়োজন নৌকাকে আবারও ক্ষমতায় আনা। আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আমার আর কোন চাওয়া নেই, আপনাদের সেবা করাই আমার কাজ। আপনারা কিভাবে সুন্দর ভাবে বাঁচবেন, সেটা নিয়েই আমি, আমার দল এবং সরকার কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ শুধু নামমাত্র বিভাগ হবে না, একটি বিভাগের জন্য যেগুলো সুযোগ-সুবিধা, সরকারি দপ্তর প্রয়োজন তার ব্যবস্থা আমি করে দিচ্ছি। শুরু হতে যাওয়া প্রকল্প গুলো শুরু হলে বেকাররা কাজ পাবে, বেকারত্ব দূর হবে; কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এসময় তিনি নব গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র সমাবেশে উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। এ সফরে সরকার প্রধান ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনায় ১০১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৯৪ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া-জিয়াউর রহমান ওই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার যেন না হয় সে জন্য তারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। যারা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, সন্তান হারা শোকাতুর মাকে সান্তনা জানতে দেয়নি; মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে আমরা (শেখ হাসিনা ব্যতিত আওয়ামী লীগ নেতা) তাদের সঙ্গে কখনও সংলাপ চাইনি।

বঙ্গবন্ধু কন্যার উদারতায় এ সংলাপ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনি কতটা উদার আকাশের মত উদার, আপনার হৃদয়ের গভীরতা কতো হলে আপনাকে যারা হত্যা করতে চেয়েছিল; আপনার পিতার হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছিল, আপনার হৃদয়ের মহানুভবতা দিয়ে দেশের স্বার্থে-গণতন্ত্রের স্বার্থে গণভবনে তাদেরকে সংলাপে ডেকেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কারও কাছে নতি-স্বীকার করে সংলাপে বসেনি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সব সময়ই বলে আসছেন, আমার দরজা সবার জন্য খোলা।

দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ময়মনসিংহের স্বীকৃতির পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। অবশ্য, বছরের শুরুতে ৫ এপ্রিল ময়মনসিংহ সফরে আসার কথা ছিলো বঙ্গবন্ধু কন্যার, পরে তা ১১ অক্টোবর নির্ধারিত হয়। দ্বিতীয় দফায়ও তা বাতিল হয়।

এর আগে, ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহে এসেছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com