বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘মানবাধিকার ও প্রতিহিংসার রাজনীতি’ শীর্ষক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘মানবাধিকার ও প্রতিহিংসার রাজনীতি’ শীর্ষক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত সময়কার রাজনীতি দেখেছি। এরশাদ যেন পালাতে না পারে, মানুষ বিমানবন্দর পাহারা দিয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা দেশে থাকলে হয়তো আর সেনাবাহিনীও তাকে ক্যান্টনমেন্টে রাখতে পারত না। এটাই প্রতি হিংসার রাজনীতি। অনেকে হয়তো প্রতিহিংসাকে পছন্দ করেন। সরকারে যারা থাকেন, তারাই ঠিক করবেন সমাজে প্রতিহিংসা থাকবে কি না।’
‘রাজনীতির ধরন যদি পাল্টাতে না পারি, পরবর্তীতে যারা আসবে তাদের কাছেও খুব বেশি আশাবাদী হতে পারি না। আগের মত মানুষগুলোই ক্ষমতায় আসবে। পুলিশ যেন ভবিষ্যতে আর মানবাধিকার লঙ্ঘণ করতে পারে সে লক্ষ্যে আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকতে হবে।’
মেজর জেনারেল (অব) এহতেশাম উল হক বলেন, ‘গত ১৬ বছর ছিল স্বাধীনতার পর ৫২ বছরের সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘণের সময়। পাকিস্তান থাকে যে উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা এনেছি, সেই মৌলিক স্বাধীনতা, বিশেষ করে বাক স্বাধীনতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হচ্ছে। সরকার নিজেরাই লুটপাটকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। করোনাকালীন সময় আমরা দেখেছি আমাদের স্বাস্থ্যখাত একেবারেই ভঙ্গুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তলানিতে ঠেকেছে। অটো পাশ মানবাধিকার লঙ্ঘণের আরেকটি উদাহরণ। ফলে মানবাধিকার বিষয়ে আমাদের আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে।’
মানবাধিকার গবেষক রঞ্জন কর্মকার বলেন, ‘প্রতিহিংসার পরিবর্তে প্রতিযোগিতার রজনীতিতে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোকেই ভূমিকা রাখতে হবে। গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতিহিংসা শব্দটি যায় না। যখনই গণতন্ত্র হুমকিতে পড়েছে আমরা তখনই আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে ওঠতে দেখেছি। রাজনীতি হবে আদর্শিক, ক্ষমতা নির্ভর নয়। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি একটি দলকে কিভাবে নিঃশেষ করে দেয়, তা আমরা ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছি।’
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান (অব) বলেন, ‘জনসংখ্যার দিক থেকে আমরা অষ্টম বৃহৎ দেশ। তবে দক্ষ লোকজনকে সঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে পারি নাই। ফলে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও দেশ পিছিয়ে আছে। দেশপ্রেম থাকলেই মানবাধিকার রক্ষা সম্ভব। আশা করি দ্রুতই আমরা এসব সমস্যা উত্তরণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারব।’
বাংলা৭১নিউজ/এআর