বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২০১৯ সালের গণভোটে বিজেপি বিদায় নেবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘রাইজিং বেঙ্গল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
মমতা বলেন, ‘২০১৯ সালে গণভোট হবে, মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে না, অন্যান্য দলকে দেবে। মানুষ যদি একবার সরকার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে টাকা, ভুয়ো খবর, মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও তাদের টলাতে পারবে না।’
মমতা বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গ জয়ের ভাবনাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আগে দিল্লি সামলা, তারপর দেখবি বাংলা।’ ২০১৯ সালে ওরা দুইশ’ আসনও পাবে না। ওরা উত্তর প্রদেশে হারবে, বিহারে হারবে, মহারাষ্ট্রে হারবে, মধ্য প্রদেশে হারবে, রাজস্থানেও হারবে। বিজেপি যতই চেষ্টা করুক, তারা জিতবে না। মানুষ চায় বিজেপি পরাজিত হোক।
শিকাগো সফরকে কেন্দ্র করে জটিলতা প্রসঙ্গে আরএসএসকে ‘জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ বলে অভিহিত করে মমতা বলেন, ‘আমরা জানি এসময় শিকাগোতে আরএসএস-এর একটি অনুষ্ঠান ছিল। আমি এই জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সমর্থন করি না। আমার সফর শেষের পর ওরা ওদের অনুষ্ঠান করতে পারত।’
অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘যে চল্লিশ লাখ নাম নাগরিকপঞ্জিতে বাদ পড়েছে তার মধ্যে বাইশ লাখ হিন্দু। আমাদের কী বিজেপি’র কাছ থেকে ‘হিন্দু’ হওয়ার প্রমাণপত্র নিতে হবে? এই দেশটা মানুষের শরীরের মতো, কোনো অঙ্গ বাদ গেলে সারা দেহ বাঁচতে পারবে না। এরকম বিভেদমূলক মতাদর্শে আমরা বিশ্বাস করি না।’
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার দফতরের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী শনিবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘দেশে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে বিজেপি তাদের কার্যকলাপে প্রচণ্ডভাবে হোঁচট খেয়েছে। বিশেষভাবে নোট বাতিলের ঘটনায় বহু মানুষ আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। নোট বাতিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল কালো টাকা উদ্ধার। কিন্তু আদৌ তা হয়নি। নোট বাতিলের আগে বিজেপির নেতারা নিজেদের টাকা সব সাদা করে নিয়েছেন। মানুষকে সুযোগ না দিয়ে তারা নানাভাবে বিপর্যস্ত করেছেন। এতে দেশের মানুষ খুব ক্ষিপ্ত। মানুষ তাদের হাত থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছে। এসব কারণেই মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেছেন।’
‘আরএসএস যে ক্ষতি করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ওরা রেজিমেন্টেড ফোর্স’ বলেও মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মন্তব্য করেন।#
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: পার্সটুডে/এমএস