বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আগামী ১ মাসের মধ্যে রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক চুক্তি সম্পন্ন হবে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। শনিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা পরিবেশ আইন মেনেই তা করা হচ্ছে। যে সকল দেশ আজকে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতের বিরোধিতা করছে। তারা এক সময় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আজকের অবস্থানে এসেছে।
নসরুল হামিদ বলেন, যমুনা সেতু নির্মাণের সময় পরিবেশবাদীরা সমালোচনা করে বলেছিল পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। আর পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বলা হয়েছে এর ফলে ইলিশের চলাচল ব্যাহত হবে। এখন তারাই আবার রামপালের বিরোধিতা করছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করবো। আর এই বিদ্যুত নিরবিচ্ছিন্ন করতে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
আগামী বিশ্ব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্র হবে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুটান, নেপাল ও ভারত থেকে আগামীতে আরো ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির যোগ্যতা অর্জন করতে যাচ্ছি।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের মধ্যে ত্রি-দেশীয় বৈঠক হবে। গত মাসে নেপালের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে নেপালে গিয়ে বিদ্যুৎ আনার চুক্তি করা হবে।
বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেপালে বিনিয়োগ করবে। একই প্রস্তাব ভুটানকেও দেয়া হয়েছে। ত্রিদেশীয় চুক্তির মাধ্যমে ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনা হবে। ইতোমধ্যে ভারত এ বিষয়ে সম্মতিও প্রকাশ করেছে। তবে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশে আনতে ৫ থেকে ৭ বছর সময় লাগবে।
বিদ্যুৎ সংযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে সিস্টেম চালু হবে। যার মাধ্যমে গ্রাহক যেদিন বিদ্যুতের আবেদন করবে সেদিনই তাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য জমির পরচা লাগবে না। এছাড়া শিল্প কারখানাতেও বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের পর যত দ্রুত সম্ভব সংযোগ দেয়া হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে।
জ্বালানি তেলের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম হঠাৎ বৃদ্ধির কারণে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তেলের দাম অবশ্যই কমানো হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী ও কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস