বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চার লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেয়ার পরিকল্পনা করছেন।
তিনি রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় সভা এবং বাজেট মনিটরিং এন্ড রিসোর্স কমিটির (বিএমআরসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চলতি অর্থবছরের জন্য চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছি। চলতি অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট হবে তিন লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। আমরা পরবর্তী অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা করেছি।’
বাজেটের এই পরিমাণকে তিনি প্রাথমিক সূচক উল্লেখ করে বলেন, আগামী (২০১৮) ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী বাজেটের টাকার প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
মুহিত বলেন, আগামী বাজেটই হবে বর্তমান সরকারের এই মেয়াদের শেষ বাজেট। অতএব আমি মনে করি, ঠিক এখনই ওই বাজেট সম্পর্কে আমাদের ভালভাবে চিন্তা-ভাবনা শুরু করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেটে কোন নতুন উদ্যোগ থাকবে না। সেটা কোন উচ্চাভিলাষী বাজেটও হবে না।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার অধিক গুরুত্বারোপ করছে বিধায় পরবর্তী বাজেটে শিক্ষা হবে সবচেয়ে অগ্রাধিকার খাত।
মুহিত বলেন, ‘এই অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন কার্যক্রম অত্যন্ত ভাল। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর রাজস্ব আদায় অনেক ভাল। গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ শতাংশ। এ অর্থবছরে তা ১৩ শতাংশ হবে বলে আমারা আশা করছি।’
তিনি বলেন, সরকার রাজস্ব আদায় কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করায় এবার করদাতার সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা করদাতার সংখ্যা ২৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। কিন্তু করদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামালকে উদ্ধৃত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, শস্যের ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস