নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচনে তো কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে আগামী নির্বাচনে আমরা চ্যালেঞ্জের থেকে সুবিধা বেশি দেখতে পাচ্ছি।’
ভোটারতালিকা হালনাগাদ উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে আজ সোমবার সকালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। নীলফামারী সরকারি কলেজ মিলনায়তনে সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় এই সভার আয়োজন করে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বর্তমানে যেসব রাজনৈতিক দল মাঠে ময়দানে নির্বাচনের কথা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সঠিক নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ইত্যাদি নিয়েই দাবি তুলেছেন, কথা বলেছেন।
আমার মনে হয় আমাদের সময় এসেছে তাদের কাছে দাবি করা যে, আপনারা এতোদিন ধরে যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন, আমাদেরকে এই দাবি পূরণ করার সুযোগ করে দেন।
পাশাপাশি আমি মনে করি, আমাদের ইয়াং জেনারেশন এই জুলাই এবং আগস্টের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের সবার চোখ খুলে দিয়েছে যে ব্যক্তি নাগরিকের অধিকার কী জিনিস। এবং ব্যক্তি নাগরিকের অধিকার খর্ব হলে কী হতে পারে। আমার মনে হয় এটাকে আমাদের কাজে লাগানো উচিত।’
আগের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত হয়েছে খারাপ নির্বাচনের জন্য। আমাদের সামনে একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে, আমাদের সবার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার। নিশ্চিত সবাই এই সুযোগ গ্রহণ করবেন।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী নির্বাচনে আমরা সবাই অত্যন্ত সচেতন থাকবো, সজাগ থাকবো, সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে যদি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আমার এজেন্ট উপস্থিত থাকতে না পারে তাহলে যা হওয়ার তাই হবে ভেতরে।
সার্বিকভাবে নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনা এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা শুধু একটি বাড়ি বা একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা সম্ভব না। এটি একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। একদম শুরু থেকেই সঠিক ভোটারতালিকা হওয়া থেকে শুরু করে ফলাফল ডিক্লিয়ার করা পর্যন্ত। আমি বিশ্বাস করি, এইবারে আস্থাহীনতার জায়গাটা থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করতে চাই, নির্বাচন কমিশন একটি পাত্র। সে যে রং ধারণ করবে, তার অধীনস্থ সকলে পানির মত, সেও এই রং ধারণ করবে। আমরা চাইলেও রাতারাতি সকল লোককে যারা পূর্ববর্তী নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, অপসারণ করতে পারব না, এটা সম্ভব নয়।
তাহলে আমাদের যেটা করতে হবে, দেখতে হবে যে কারা এখানে অংশীজন বনে গিয়েছিল, আর কারা বাধ্য হয়েছিল। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আমরা নির্বাচন কমিশন শক্ত থাকি, স্বচ্ছ থাকি, সৎ থাকি আমাদের অধীনে যারা নির্বাচন করবেন তারাও সৎ থাকতে বাধ্য।’
এসময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহাবুবুর রহমান ভূঁইয়া, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম