বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: মাত্র এক দিন বাকি। আগামীকাল (১৪এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা পঞ্জিকায় যোগ হবে নতুন আর একটি বছর। শুরু হবে ১৪২৫। বাঙালি মেতে উঠবে প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে। সকাল থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা, চলবে দিনভর।
বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে রাজধানী প্রস্তুত। দেশজুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট, ফ্যাশন হাউস, রেস্তোরাঁ, মৃৎশিল্পের দোকান, শিশুপার্কসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র। চারদিকে বর্ষবরণ উৎসবের আমেজ।
বর্ষবরণে ঢাকার সবচেয়ে বড় আয়োজনটা থাকে রমনা বটমূলে। গানে গানে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায় ছায়ানট। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও চলছে রমনা বটমূলে। ছায়ানটের টানা ৫১তম অনুষ্ঠান করতে প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ। আগামীকাল শনিবার ভোরে সুরে সুরে নতুন বছরের প্রথম দিনকে বরণ করা হবে। নামবে হাজারো মানুষের ঢল।
শনিবার সকাল নয়টায় বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, শিশু একাডেমী দিয়ে ঘুরে টিএসসি চত্বর দিয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা সফল করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। শেষবারের মতো রং তুলি বুলিয়ে নিচ্ছেন শিল্পকর্মে।
বর্ষবরণের দিন রাজধানীজুড়ে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে থাকবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি।
ডিএমপি কমিশনার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, নববর্ষকে ঘিরে গোটা রাজধানী কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। পুরো ভেন্যু সিসি টিভি দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
রমনার বটমূলে সকালে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে মানুষকে প্রবেশ করানো হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও থাকবে পুলিশ প্রহরা। মাঝপথে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ মুখোশ পড়তে পারবে না। আর যারা মুখোশ ব্যবহার করবেন তাদের একটি তালিকা দেবে চারুকলা ইনিস্টিটিউট থেকে।
রমনা পার্কে তিনটি প্রবেশ এবং তিনটি বাইরের গেট থাকবে।
বিকাল পাঁচটার পরে উন্মক্তস্থানে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। সম্মিলিত সাস্কৃতিক জোট সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে তাদের অনুষ্ঠান শেষ করবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস