বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিতে সকাল থেকেই শহীদ মিনারে দলে দলে আসতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। সমাবেশ সফল ও সুশৃঙ্খল রাখতে আগত ছাত্র-জনতার প্রতি ৭টি নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সাড়ে এগারোটায় জাতীয় নাগরিক কমিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়৷
কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ঘোষণাগুলো হলো-
১. প্রত্যেক থানা ইউনিট প্রোগ্রামস্থলে পৌঁছে কোন ব্যানার রাখবে না।
২. প্রোগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন।
৩. শহীদ মিনারে পৌঁছে প্রত্যেক থানার সদস্যরা একসঙ্গে থাকবেন।
৪. শহীদ মিনারে মাইকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা সম্পূর্ণ ফলো করবেন।
৫. প্রোগ্রামস্থলে অন্য থানা সদস্য বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো যাবে না।
৬. প্রত্যেক থানা থেকে যেসব নারী সদস্যরা আসবে তাদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
৭. প্রোগ্রাম চলাকালীন মঞ্চে সামনে যাওয়া বা মিডিয়ায় আলাদা আলাদা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শহীদ মিনারে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জানালে আজকে ঘোষণাপত্র পাঠ হবে কি-না তা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ২ টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস