বাংলা৭১নিউজ,(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সমগ্র ভারতজুড়ে চলা লকডাউনের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ মার্চ থেকে সব ধরনের পণ্য রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রফাতানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
তবে নতুন করে বন্দরটি সচল হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছে মাছ ও ফলমূল। আগরতলা কাস্টমসের ছাড়পত্র পেলেই মাছ আমাদিন করবেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূলসহ জরুরি খাদ্যসামগ্রী নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।
আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে রফতানি শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি রফতানি শুরু হতে যাওয়ার খবরে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন শ্রমিকরাও। রফতানি শুরু হলে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার ডলার মূল্যের মাছ যাবে আগরতলায়। তবে দেশে ‘অঘোষিত লকডাউন’ চলার কারণে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে আসা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আগরতলার ব্যবসায়ীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পণ্য আমদানির ব্যাপারে। মাছ, ফলমূল ও অন্যান্য জরুরি খাদ্যসামগ্রী নিতে তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানকার কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেলে আশা করছি দু’তিনদিনের মধ্যে আবারও রফতানি শুরু হবে। তবে অন্যান্য পণ্যগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তেল, সিমেন্ট, কয়লা, পাথর, মাছ, শুঁটকি, প্লাস্টিক সামগ্রী ও খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন চাহিদাসম্পন্ন পণ্য আগরতলায় রফতানি করা হয়। গড়ে প্রতিদিন ৪০-৫০টি পণ্যবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করে আগরতলায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন লাখ ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী রফতানি করা হয়। কোনো কোনোদিন আরও বেশিও হয়। এসব পণ্য আগরতলা থেকে দেশটির সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি রাজ্যে সরবরাহ করা হয়। তবে পণ্য রফতানি থেকে সরকার কোনো রাজস্ব না পেলেও বৈদেশিক মুদ্রার রেমিটেন্স পেয়ে থাকে।
বাংলা৭১নিউজ/জেআই