বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। এই রাষ্ট্রকে এখন সংস্কার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেমন এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। দেশকে নতুনভাবে পরিচালনার জন্য আবার সংস্কার প্রয়োজন। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে। এরপর ১০ দফার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুনভাবে সাজাতে হবে।
শনিবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ দফার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিচ্ছে। ব্যাংকিং খাতকে লুট করে একেবারে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টুকরো করে দিয়েছে। রিজার্ভ থেকে ৮শ কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, যেখানে যাবেন সেখানেই দুর্নীতি। ইউনিয়ন পরিষদে যাবেন, আদালতে যাবেন সবখানেই দুর্নীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদ যায়নি। সেখানেও ঘুষ দিতে হয়। একজন পিয়নের চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। কারণ এ সরকার জনগণের সরকার নয়। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। দেশের আদালত প্রাঙ্গণেও এ সরকার ভোট চুরির রূপ দেখিয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আক্তার হোসেন, মহানগর সদস্য এডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, আকবর হোসেন নান্টু, আলাউদ্দিন সররকার টিপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম আওয়াল, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জাকির হোসেন, জিল্লুর রহমান খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের দক্ষিণখানের মোতালেব হোসেন রতন, দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদপুরের এম এস আহমাদ আলী, বিমাবন্দরের দেলোয়ার হোসেন দিলু, তুরাগের হাজী জহিরুল ইসলাম, মিরপুরের আব্দুল মতিন, দেলোয়ার হোসেন দুলু, খিলক্ষেতের দেওয়ান ফরিদ, মিজানুর রহমান রেনু, রুপনগরের আলী আহমেদ রাজু, আদাবরের সাদেক হোসেন স্বাধীন, শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের চকবাজারের শহিদুল ইসলাম বাবুল, শফিকুল ইসলাম রাসেল, হুমায়ুন কবির, ডেমরা থানার মনির হোসেন খান, যাএাবাড়ীর জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসআরকে