সামান্য কিছু রদবদল ছাড়া বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে। টানা দশমবারের মতো দলটির কাণ্ডারির ভূমিকায় শেখ হাসিনাকেই নির্বাচিত করেছেন কাউন্সিলররা। আর দলের সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাটট্রিক করেছেন ওবায়দুল কাদের। আগামী তিন বছর মেয়াদে দলের শীর্ষ এ পদ দুটিতে দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর দুই জন সদস্য বাদ পড়েছেন। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ গত সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তাকে এবার রাখা হয়নি। আর বাদ পড়েছেন আবদুল মান্নান খান। তিনিও দুই মেয়াদে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সভাপতিমণ্ডলীতে মোট পদসংখ্যা ১৯টি। আগে থেকেই একটি পদ ফাঁকা থাকায় এবারের দুজন মিলে মোট তিনটি পদ ফাঁকা হয়। এর মধ্যে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে নতুন করে সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর পদের সংখ্যা ৩৪টি। এর মধ্যে শ্রমবিষয়ক এবং যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক বাদ পড়েছেন। এ দুই পদে নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ২০০৯ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন হাবিবুর রহমান সিরাজ। এক যুগেরও বেশি সময় পর এবার তিনি বাদ পড়লেন। আর যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ।
এদিকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পরিবর্তন হয়েছে একটিতে। আর ২৮ সদস্যের নির্বাহী সদস্যের কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগে বিকালে কাউন্সিল অধিবেশনের পূর্বে শনিবার সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলরসহ ২৫ হাজার ডেলিগেট অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আমন্ত্রিত অতিথি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও যোগ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ