আওয়ামী লীগ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় চোর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হলো চোরের দল। সব ক্ষেত্রে তারা চুরি করে। এর চেয়ে বড় চোর বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি ঘোষিত ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২৭ দফা রুপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আজকে আমরা কোন রাষ্ট্রে বাস করছি? সত্য কথা বললে বলা হয়, আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে যাচ্ছি। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কষ্ট হয় যে, যখন দেখি কিছু বুদ্ধিজীবী এ নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) সাপোর্ট করেন। তার অন্যায়গুলোকে সমর্থন দেন। এ বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? চিৎকার দিয়ে বলতে পারি, আমরা এ বাংলাদেশ চাইনি। আজকে দেশের মানুষ ভাত পাচ্ছে না, চাল পাচ্ছে না। একজন শ্রমিক তার ছেলেকে প্রোটিন হিসেবে ডিমও খাওয়াতে পারে না।’
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আজকে তারা সেটা বাতিল করে ফেলেছেন। এখন দেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এখন আমাদের আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে আমাদের আন্দোলনে ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন। আসুন আমরা সবাই মিলে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যে নির্বাচন হয়, সেটা ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ নির্বাচনকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু গতকাল (বুধবার) নির্বাচন ঘিরে যা ঘটেছে, তা দেশের নির্বাচনব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক। আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। মনে হয় দেশে যেন সরকারও নেই।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম আব্বাসী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আব্দুল করিম প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ