বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় সড়কে প্রাণ গেলো বাংলাদেশির আজই কারামুক্ত হবেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন-হোসেন, আশা আইনজীবীর ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাড়ে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার টিউলিপ ও পুতুলের বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির অনুসন্ধান নির্বাচনের আগে ট্রায়াল কোর্টে বিচারের আশা আসিফ নজরুলের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা গাজীপুরে দিনব্যাপী ‘মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর সামিট-২০২৫’ মারা গেছেন সাবেক আইজিপি আজিজুল ৩ কোটি টাকা মূল্যের শো-রুমের গাড়ি নিয়ে লাপাত্তা : গ্রেপ্তার ৫ দেশের ইতিহাসে প্রথম গোয়েন্দা জাহাজ উন্মোচন করল ইরান প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি শুরু, চলবে মার্চ পর্যন্ত ক্যান্সার আক্রান্ত গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু তাবলিগ জামাতের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা বান্দরবানে ৭ শ্রমিককে অপহরণ

আইভীর বিপক্ষে লড়বেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরপ্রধান তথা মেয়র পদে ভোটের সরল সমাধান শেষপর্যন্ত কঠিন সমীকরণে রূপ নিতে যাচ্ছে। কারণ বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর বিপক্ষে ভোটের ময়দানে নামতে যাচ্ছেন হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। 

তবে বিএনপি থেকে নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে লড়াইয়ে নামছেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। শনিবার দৈনিক যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তৈমুর আলম খন্দকার নিজেই। 

তিনি বলেছেন, শনিবার তিনি জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে পারেন। মেয়র পদে তৈমুর আলম খন্দকার ভোটযুদ্ধে নামলে একটি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

তারা বলছেন, এই হেভিওয়েট প্রার্থী মাঠে নামলে ঘাম ঝরাতে হবে সরকারদলীয় প্রার্থীর। এদিকে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কেন্দ্রীয় বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত ঠিক থাকলেও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির একাধিক সূত্র। 

সূত্র বলছে— নারায়ণগঞ্জের তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রবল ইচ্ছা ও মনোবল চাঙা রাখতেই আমরা মৌন সম্মতি দিয়েছি। তাছাড়া বিএনপিপন্থী অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীও আছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও চলমান নির্বাচনী পরিবেশ-প্রতিবেশে নাসিকে মেয়র পদে তৈমুর আলম খন্দকার লড়াইয়ে নামলে শুধু বিএনপিই নয়, গণজোয়ার সৃষ্টি হবে বলে মনে করছি আমরা।

জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নাসিক নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে দলটির প্রথমসারির নেতা থেকে তৃণমূল নেতাকর্মী-সমর্থকরা অনেকটা মুখিয়ে ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের দিকেই। দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকলেও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গদলের শত শত নেতাকর্মী ভিড় জমিয়েছেন তৈমুর খন্দকারের বাড়িতে। শেষতক  গত  ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সাখায়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। 

যদিও দুজনই বলেছেন, মনোনয়ন ফরম কিনে রাখলেও তারা দুজনই অপেক্ষায় আছেন দলীয় সিদ্ধান্তের। এটিএম কামাল অবশ্য বলছেন- অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার শুধু আমাদের সিনিয়র নেতাই নন, তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী। দলের বাইরেও তার ক্লিন ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। তিনি নির্বাচন করলে আমি সরে দাঁড়াব। 

এটিএম কামাল আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে পরিবর্তনের একটি দাবি উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝ থেকেই। সর্বশেষ জেলার বেশ কয়েকটি ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় ঘটেছে। অ্যাডভোকেট তৈমুরের নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। সে কারণেই দুই দফা তিনি দলীয় বৈঠকে অ্যাডভোকেট তৈমুরের নাম উচ্চারণ করেছেন। অ্যাডভোকেট তৈমুর প্রার্থী হলে ভোট সুষ্ঠু হবে- এমন ধারণাও করছেন অনেক কর্মী-সমর্থক।

অপরদিকে গত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়া অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, দলীয় প্রতীক ছাড়া আমি নির্বাচন করব না। তবে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ উৎফুল্লতা দেখা গেছে। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, আমরা মনে করি- চলমান ইউপি নির্বাচন সরকারের জন্য একটি বার্তা ছিল। আমরা মনে করি, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি সরকার ও বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। যেহেতু ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে, তাই সেখানে কোনো কারসাজি করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের সম্ভবনাটুকুও নিঃশেষ হয়ে যাবে।

নেতারা বলেন, সারা দেশে নৌকা তথা সরকারদলীয় প্রার্থীদের যে অবস্থা আর ফলাফল আমরা দেখছি, তাতে মানুষ ভোট দিতে পারলে আর ইভিএম নামক মেশিনটি যদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তবে নাসিক নির্বাচনে শুধু বিএনপির ভোটাররাই নয়, সাধারণ মানুষও নৌকার বিরুদ্ধে রায় দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।  

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামছেন জানিয়ে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার  জানিয়েছেন, আমি দলীয় সিদ্ধান্তে অনড় ছিলাম। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দলের ত্যাগী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যেভাবে আমাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন- আমি মনে করি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এ স্পৃহা ও চাঙা ভাবটা ধরে রাখাও আমার নৈতিক দায়িত্ব। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছেন; ১৮ বছরের একনায়কতন্ত্রের অবসান চাচ্ছেন। দলের বাইরেও শত শত মানুষ আমাকে নির্বাচন করতে বলছেন। খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ আমরা দিতে চাই না। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com