সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

আইএস জঙ্গির খোঁজে ভারতের উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে দিনভর তল্লাশি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বহু কুখ্যাত আইএস জঙ্গি লুকিয়ে আছে উত্তর ভারতে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তারা রাজধানী দিল্লিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে বড় আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে। এরকম একটি খবর পেয়েই জোর তল্লাশিতে নামল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ)। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের আটটি জায়গায় দিনভর হানা দিল এনআইএ। সকাল থেকে চলা এই ধরপাকড়ে জনৈক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করল তদন্তকারী সংস্থাটি। পেছনে আর কারা কারা রয়েছে, মডিউলের মূল উৎস কোথায় তা খুঁজে বার করতে আটক ব্যক্তিদের রাত পর্যন্ত ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

গোটা ঘটনার সুতো অবশ্যই বাঁধা বিগত ২৬ ডিসেম্বরের আইএস মডিউল ফাঁস হওয়ার ঘটনার সঙ্গে। ওই মডিউলের নিশানাতেও ছিল দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থান। আত্মঘাতী হামলা ও সেই সঙ্গে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র চলছিল। হামলার তালিকায় ছিল বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রথম সারির রাজনীতিবিদরা। হামলার তোড়জোড় চালানো আইএস জঙ্গিদের এই মডিউলটি ফাঁস হয় গত ২৬ ডিসেম্বর। সেই মডিউলের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এআইএ। তদন্তের সূত্র ধরে ১২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের হাপুর থেকে মহম্মদ আবসার (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা। তার পাঁচ দিনের মাথায় এদিন ফের একযোগে তল্লাশি চলল।

এনআইএ সূত্রে খবর, আইএস অনুপ্রাণিত এই জঙ্গি মডিউলের নেপথ্যে রয়েছে ‘হরকত-উল-হার্ব-ই-ইসলাম’ নামে একটি সংগঠন। মডিউলটি ফাঁস হওয়ার পর এতদিন ধৃতদের টানা জেরা চালিয়েছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। জেরা থেকে উঠে এসেছে আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জঙ্গিদের এই নেটওয়ার্কটি রাজধানী দিল্লির আশপাশে ভালোমতো ছড়িয়ে গিয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন এনআইএ কর্তারা। সেই সূত্রে ধরেই লুকিয়ে থাকা বাকি জঙ্গিদের হদিশ পেতে এদিন নতুন করে তল্লাশি অভিযান চলল। স্থানীয় পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে সকাল থেকে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশ ও পাঞ্জাবের বেশ কিছু জায়গায় হানা দিয়েছেন এনআইএ অফিসাররা। দুই রাজ্য থেকেই এদিন আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। তার মধ্যে লুধিয়ানার একটি মসজিদ থেকে আটক করা হয়েছে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহম্মদ ওয়াইস (২০) নামে এই যুবক মাস খানের আগে উত্তরপ্রদেশের রামপুর থেকে লুধিয়ানায় এসেছিল। রাহুন রোডের একটি মসজিদে মৌলবি তথা মাদ্রাসা শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছিল। স্থানীয় পুলিসের এক ইন্সপেক্টর বলেন, এদিন ভোরে মসজিদটিতে হানা দেয় এনআইএর একটি দল। পাঞ্জাবের পাশাপাশি খুব সকাল থেকে একযোগে তল্লাশি শুরু হয় উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। হানা দেওয়া হয়েছে হাপুরের দু’টি গ্রামে। তার সঙ্গে এনআইএ তল্লাশির চালিয়েছে বুলন্দশহরের একটি, আমরোহার একটি ও মিরাটের দু’টি গ্রামেও।

হাপুরের পুলিস সুপার সংকল্প শর্মা বলেন, নঈম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার দু’টি গ্রামে এই তল্লাশি চলেছে। জঙ্গি মডিউল ‘হরকত-উল-হার্ব-ই-ইসলাম’-কে পিস্তল সরবরাহ করার অভিযোগে মিরাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল নঈমকে। হাপুর জেলা থেকে এদিন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি এনআইএর অন্য একটি দল এদিন তল্লাশি চালায় বুলন্দশহরের কালোলি গ্রামে। আটক করা হয় হাবিব নামে মুদির দোকানের এক মালিককে। এই ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর সৌদি আরবে কাটিয়েছিল। আমরোহা জেলায় এর আগের তল্লাশিতে ওই জঙ্গি মডিউলের মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ।

তাদের জেরা করে এই জেলার ভাট খেরি গ্রামে জুবের নামে এক ব্যক্তির কথা জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। তবে তল্লাশি চালিয়েও এদিন অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে ধরতে পারেননি গোয়েন্দারা। সকালে তল্লাশিতে আসার আগেই এনআইএর নাগাল এড়িয়ে পালিয়ে যায় জুবের। এদিন তল্লাশি চলেছে মিরাটের দু’টি গ্রামেও। তার মধ্যে একটি গ্রাম থেকে গত ১২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মহম্মদ আবসারকে। হাপুরের একটি গ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষক হিসেবে কাজ করত এই আবসার। সরকারি সূত্রে খবর, গত বছর মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের তিনটি জায়গায় গিয়েছিল ধৃত আবসার। সঙ্গে ছিল এই জঙ্গি মডিউলের আরও এক সন্দেহভাজন ইফতিকার শাকিব।

২৬ ডিসেম্বর আইএসের এই মডিউলটি ফাঁস হওয়ার পর এনআইএ জানিয়েছিল, তল্লাশিতে বহু অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক ও নাশকতার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম মিলেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এনআই/সূত্র:বর্তমান অনলাইন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com