বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

অ্যাপল বনাম অ্যামাজন: লড়াইয়ে কে এগিয়ে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে
অ্যাপল ও অ্যামাজনের মধ্যে চলছে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের বাজার মূল্য ছিল এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপর অর্থাৎ ৭৭৯ বিলিয়ন পাউন্ড। এই ঘটনা ঘটলো অ্যাপল প্রথম পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর। গত কয়েক বছর ধরে উভয় প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যবসা বেড়ে চলেছে, কিন্তু সামনের দিনগুলোতে সেটা কতটা প্রসার লাভ করবে?

একটি আপেল এবং একটি কমলা যতটা ভিন্ন, অ্যাপল এবং অ্যামাজনও ঠিক তেমনই একে অপরের থেকে ভিন্ন।

অ্যাপল হচ্ছে টেক কোম্পানি এবং ট্রেন্ডি কনজিউমার ব্র্যান্ড হয়ে গেছে। অনেকসময় লোকজন সস্তা অন্য অনেক বিকল্প থাকা সত্ত্বেও তাদের পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়।

অন্যদিকে অ্যামাজন হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে লোকজন অপেক্ষাকৃত সস্তা জিনিসের খোঁজে যায়, যা আরও সহজে এবং আরও দ্রুত পাওয়া যাবে।

২০০৭ সালে যখন প্রথম আইফোন বিক্রি শুরু করে অ্যাপলের শেয়ার ১১০০% টাকায় উঠে যায় এবং আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ লাফিয়ে ওঠে।

বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন

অ্যামাজনের ক্ষেত্রে এর বাজার মূল্য লাফ দিয়ে ৬০০বিলিয়ন ডলার থেকে ৭০০ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে কেবল মাত্র ১৬ দিনে।

বিপরীতে একই ঘটনা অ্যাপলের ক্ষেত্রে ঘটে ৬২২ দিনে।

যদিও অ্যাপল এবং অ্যামাজন বিভিন্ন পণ্য এবং সেবা প্রদান করে, তারা উভয়ই প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, বাজারে প্রচলিত পাঁচটি শ্রেষ্ঠ পারফর্মিং প্রযুক্তিগুলোর দুটো তারাই উৎপাদন করে।যেগুলোকে সাধারণ ভাবে যেগুলো “ফাং” বলে পরিচিত-যা দিয়ে বোঝানো হয়- ফেসবুক, অ্যাপল, অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স এবং গুগল ।

কোন কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য লাভ করবে?

এখানে উভয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হল-এবং সেগুলো কিভাবে কাজ করে—

কিভাবে দ্রুত সাফল্য লাভ করলো?

২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে অ্যামাজনের পার্সেন্টেজ গ্রোথ হার অনেক বেশি ছিল।

ঐতিহ্যগতভাবে অ্যাপলের বেশিরভাগ রেভিন্যু আসে এর ডিভাইস বিক্রির অর্থ থেকে- বিশেষ করে আই-ফোন, আইপ্যাড, আইম্যাক এবং আইপড থেকে।

বিশ্বের স্মার্ট-ফোনের বাজারে অ্যাপলের কেবলমাত্র ১৪% শেয়ার রয়েছে, তবে এর রেভিন্যু আয় ক্রমাগতভাবে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে খাটো করে দিচ্ছে।

স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকস-এর তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের প্রথম তিনমাসে অ্যাপল ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেভিনিউ আয় করেছে যেখানে স্যামসাং মাত্র ১৯ বিলিয়ন ডলার, এবং হুয়াই ৮ বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আয় করে তৃতীয় অবস্থানে আছে।

অ্যাপল অ্যামাজন
সূত্র: ব্লুমবার্গ

জুনিপার রিসার্চ এর প্রধান পরামর্শ উপদেষ্টা উইন্ডসর হোল্ডেন বিবিসিকে বলেন “আইওএস ডিভাইসের ওপর অ্যাপলের নির্ভরশীলতা এর শক্তির দিক, কিন্তু তার অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, এটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে”।

তিনি আরও বলেন, রেভিনিউ কমবে বলে আমরা মনে করি না, তবে সময়ের সাথে নতুন নতুন রেভিনিউ বাড়ানোর পরিমাণ কমবে, যেহেতু অ্যাপল বিদ্যমান গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য তৈরির ওপর নির্ভরশীল।

গত পাঁচ বছরে ডিভাইসের দিক থেকে অ্যামাজন প্রত্যাশার চেয়ে কম সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে, কিন্ডল ই-রিডার্স, কিন্ডল ফায়ার ট্যাবেলট এবং ইকো-ভয়েস নিয়ন্ত্রিত স্পিকার ইত্যাদি । তবে বিশ্লেষকরা বলেন, এর পক্ষে সম্ভব।

অ্যামাজন সার্ভিস এবং কন্টেন্ট থেকে রেভিনিউ অর্জন করে।

২০১৭ সালে ১.৫ বিলিয়ন স্মার্ট-ফোন শিপমেন্ট করেছে বিশ্বজুড়ে, জুনিপার রিসার্চের তথ্য বলছে।

তবে পরবর্তী পাঁচ বছরের শিপমেন্ট চালান ধীরগতিতে চলবে কারণ পশ্চিমা বিশ্বে বেশিরভাগ ভোক্তা এরিমধ্যে স্মার্ট-ফোনের মালিক।

অ্যাপল চীনের তৈরি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দ্বারা সর্বত্র বিশাল প্রতিযোগিতার মুখে রয়েছে। তারা বিভিন্ন ফিচার দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন বাজারে ছাড়ছে যা অ্যাপল বা স্যামসাং এর ডিভাইসের চেয়ে সস্তা।

অ্যাপল, অ্যামাজনআইফোন ভোক্তাদের কাছে প্রিয় কিন্তু বর্তমানে লোকজন নতুন ডিভাইস কেনার আগে লম্বা সময় অপেক্ষা করে থাকে।

ব্যবসায় অগ্রগতির একটি প্রধান দিক হচ্ছে সংযুক্ত বিশ্ব। অ্যাপল ও অ্যামাজন উভয়ই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সম্পন্ন ভার্চুয়াল ব্যক্তিগত সহকারী এবং তারবিহীন স্মার্ট স্পিকার তৈরি করেছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে স্পষ্ট সুবিধা রয়েছে অ্যামাজনের। অ্যাপলের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরি, অ্যামাজনের ভার্চুযাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্সা।

অ্যালেক্সার জন্য অ্যাপ তৈরি করা তৃতীয় পক্ষের জন্য খুব সহজ যেখানে তার আইওএস ইকো সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে রক্ষণাত্মক।

যখন সেবার কথা আস অ্যাপল এবং অ্যামাজন -এর অফার গুলো সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন।

অ্যামাজন প্রাথমিকভাবে ই-কমার্সের দিকে মনোযোগী কিন্তু ডিভাইস ছাড়া। তারা অ্যাপস ও বিক্রি করে। ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস রয়েছে, ভিডিও কন্টেন্ট স্ট্রিমিং আছে।

বাজারে অ্যামাজন হচ্ছে সবচে বৃহৎ ক্রীড়নক, যার এক তৃতীয়াংশ শেয়ার রয়েছে।

আর ডিভাইস ছাড়া অ্যাপলের প্রধান মনোযোগ অ্যাপল মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিসের দিকে। মিউজিক ট্র্যাক এবং মোবাইল অ্যাপস বিক্রি করে আই-টিউনস স্টোরে। তবে চাইলে এটি আরও সেবা বাড়াতে পারে।

অ্যাপল ও অ্যামাজন উভয়েরই বিশাল সফল ব্যবসা তাদের যৌথ সম্পদ আমেরিকার ২৫টি সর্ববৃহৎ কোম্পানির সমান। কিন্তু দুইটির মধ্যে কোনটির দীর্ঘমেয়াদে আরও ভালো করার সম্ভাবনা?

অ্যাপল অ্যামাজনকোথাও কোথাও অ্যামাজন সুবিধাজনক অবস্থায় আছে।

গ্লোবাল ডেটা রি-টেইল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিল স্যান্ডার্স মনে করেন উভয়েরই অগ্রগতি চলবে তবে ভিন্ন ভিন্ন স্থনে।

অ্যাপল এবং অ্যামাজন -এর সম্পদ প্রায় ২৫টি বৃহৎ আমেরিকান কম্পানির সম্মিলিত মূল্য।

কিন্তু অ্যাপেলের চেয়ে অ্যামাজন বড় মার্কেট প্লেয়ার। অ্যাপেল থেকে বছরে একজন হয়তো একটি পণ্য কিনতে পারবে। সেক্ষেত্রে অ্যামাজনের আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে নেতিবাচক দিক হল, দুটো প্রতিষ্ঠানই ব্যাপক রূপ নেয়ায় তারা এখন কয়েকটি সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণের হুমকির মধ্যে রয়েছে।

যেখানে তাদের অতিরিক্ত কর দিতে হচ্ছে। তবে যদি অ্যাপল ও অ্যামাজনের সরাসরি লড়াইয়ের কথা আসে তাহলে বলতে হবে অ্যামাজনের কিছু শক্তিশালী দিক রয়েছে।

তাই আমার বিশ্বাস অ্যামাজনই জয়ী হবে, বলেন মি স্যান্ডার্স।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: বিবিসি বাংলা/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com