বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: আপনি কি পুরোনো মডেলের আইফোন ব্যবহার করছেন? তবে নিশ্চয়ই অনেক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে গিয়ে ফোনের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতার চেয়ে কম পাচ্ছেন? অনেকেই অভিযোগ করছেন, পুরোনো আইফোনের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার হালনাগাদের নামে অ্যাপল ইচ্ছে করেই এর গতি কমিয়ে দিচ্ছে। কারণ অ্যাপল চাইছে সবাই তাদের নতুন আইফোন কিনুক।
অভিযোগের বিষয়টি মেনে নিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। ফোনের গতি কমে যাওয়ায় মেসেজ লিখতে ও পাঠাতে দেরি হচ্ছে। ফোনে মেইল লোড হতে সময় বেশি লাগছে। অ্যাপলের দাবি, তারা এ কাজ করেছে মূলত একটি কারণে। অনেক দিন ধরে ব্যবহৃত ব্যাটারির প্রভাবে হুট করে ফোন যাতে বন্ধ না হয়, তা ঠেকাতে। পুরোনো ফোন যাতে দ্রুত কাজ না করে ধীরে ধীরে কাজ করে, সে বিষয়টির জন্য অ্যাপল কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
গত বুধবার অ্যাপল দাবি করেছে, এটি মূলত ফোনকে সুরক্ষা দিতেই করা হয়েছে। ফোনের বয়স হয়ে গেলে এর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নতুনের মতো দক্ষতায় প্রসেসিং চাহিদা মেটাতে পারে না। এতে ফোন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফোন যাতে এভাবে বন্ধ না হয়, এ জন্য সফটওয়্যার হালনাগাদ করা হয়েছে। এতে ফোনের কার্যক্ষমতা ধীর গতির হবে।
অ্যাপলের এ স্বীকারোক্তিমূলক ব্যাখ্যাকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন। আইফোন ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেছেন, অ্যাপল পরিকল্পিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন আইফোন বাজারে আসায় আগের ফোনগুলোতে সমস্যা তৈরি করে নতুন ফোনে আগ্রহ সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য।
স্বভাবতই অ্যাপলের ব্যাখ্যা অনেকের পছন্দ হয়নি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা স্টেফান বোগদানোভিচ ও ডাকোটা স্পিজ অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ, আইফোনের গতি কমিয়ে দিতে অ্যাপল কখনো তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। স্টেফান বোগদানোভিচ ও ডাকোটা স্পিজ দুজনই আইফোন ৭ ব্যবহার করেন। তাঁদের দাবি, গতি কমিয়ে দেওয়ায় আইফোন ব্যবহারে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। অ্যাপলের এ সমস্যার কারণে তাঁরা অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ জন্য ক্ষতিপূরণ চান তাঁরা।
এ মামলায় এখন যুক্তরাষ্ট্রের সব পুরোনো আইফোন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস