বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অ্যাটর্নি জেনারেল অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে আনন্দ লাভ করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার লিভ টু আপিল করা হয় দুদকের পক্ষ থেকে। এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগে উচ্চআদালত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে আনন্দ লাভ করেন।
রিজভী বলেন, যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে, সেভাবে নিম্ন আদালতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ। খালেদা জিয়ার মামলায় সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিন বিষয়ে সরকারি চক্রান্ত লক্ষ্য করছে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শুধু ব্যক্তিগতভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। সরকারপ্রধান অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ নির্দোষ বেগম জিয়াকে কারাবন্দি করেছে।
দুদকের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দুদক এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে তারা আবারও প্রমাণ করল তারা সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হল, সরকারি ব্যাংক লুট হয়ে ব্যাংকিংব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেল অথচ দুদক এক্ষেত্রে উটপাখীর মতো বালিতে মাথা গুঁজে রেখেছে। মামলা করা তো দূরে থাক এদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও মুখ থেকে বের হয় না। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যন্ত খেয়ে ফেলা হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। প্রকৃত টাকার অংক আরও অনেক বেশি। এই খেলাপি ঋণের টাকা সব ক্ষমতাসীনের পকেটে ঢুকেছে। লুট করে শেয়ারবাজার শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এসব লুটপাটকারীর বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে এমন কথা তো শুনিনি। কারণ তারা সরকারি দলের লোকদের আত্মীয়স্বজন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদেরও আত্মীয়স্বজন। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে যাতে কোনো আওয়াজ না ওঠে, সে জন্য গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে এবং সোচ্চার বিরোধী দলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস