আসর জুড়েই দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) টপ অর্ডার। তবে ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে ব্যর্থ তারা। প্রথম সারির চার ব্যাটারের তিনজনই সাজঘরে ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। এরপর আকবর আলি ও শামিম পাটোয়ারীর ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দল। তবে তা ডিফেন্ড করতে পারেননি বোলাররা।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ এইচপি। জবাবে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ ওভার ৪ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স।
১৪৮ রানের পুঁজি নিয়ে শুরুতেই ব্রেকথ্রু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে জশ কানকে রকিবুলের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান রিপন মন্ডল। বাংলাদেশের এমন দুর্দান্ত শুরু ম্লান করেছেন জ্যাক উইন্টার ও নোয়া ম্যাকফেডিয়েন। এই দুই ব্যাটার মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৩ রান। তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাকফেডিয়েনকে ৩৮ রানে ফিরিয়ে স্ট্রাইকার্সদের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছিলেন আবু হায়দার রনি। তবে ম্যাচে ফেরা আর হয়নি। উইন্টার অপরাজিত ৮২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভোগেছে বাংলাদেশ এইচপি। স্কোরবোর্ডে ২৩ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। তানজিদ তামিম, আফিফ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
টপ অর্ডারে ব্যর্থতার ভিড়ে ওপেনার জিশান ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২১ বলে ২৬ রান করেছেন তিনি। এরপর আকবর ও শামিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় এইচপি। শামিম করেছেন সর্বোচ্চ ৪২ রান। আর আকবের ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ রান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম