যে ভয়টা ছিল বাংলাদেশের, ম্যাচটা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। মেলবোর্নে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৪-০ গোলে।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেছিলেন, দৈহিকভাবে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে অহেতুক সেটপিস উপহার দেওয়া যাবে না। সেটা হবে আমাদের জন্য বিপদজনক। এমন কি আজ ম্যাচের আগে সে কথাটা বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলে খেলোয়াড়দের। কিন্তু সেই সেটপিসেই ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে গেছে সকারুজরা।
বাম দিক দিয়ে বল নিয়ে ঢোকার সময় গুডউইনকে ফাউল করেন মোহাম্মদ রিদয়। রেফারি ফ্রিকিকের সিদ্ধান্ত দিলে তিনিই কিক নেন। বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের চেয়ে ফিজিক্যালি এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ডরা সুবিধা নেন প্রথম সুযোগেই। হ্যারির নিঁখুত হেড ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে গোলমুখে ক্রস করেন কনোর। ব্রান্ডনের প্লেসিং গোলরক্ষকের হাতের পাশ দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।
শুরুর ঝড়ই আভাস দিয়েছিল বড় ব্যবধানে এগিয়েই বিরতিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ডিউক হেডে গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন ৩৭ মিনিটে। তিন মিনিট পর ডিউকের আবার গোল। এবার বক্সের মাথা থেকে গড়ানো শটে। ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।
২০১৫ সালে পার্থেও ৪-০ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল সকারুজরা। দ্বিতীয়ার্ধে ১ গোল করলে বাংলাদেশের হেরেছিল ৫-০ গোলে। এবার কোথায় গিয়ে থামে টানা ৫টি বিশ্বকাপ খেলা দল সেটাই দেখার।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ