বাংলা৭১নিউজ,(কক্সবাজার)প্রতিনিধি: কক্সবাজারের একটি রিসোর্টে অস্ট্রেলিয়ান এক নারী পর্যটককে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রামুর প্যাঁচার দ্বীপ এলাকার ‘গুডভাইভ কটেজ’ নামের একটি রিসোর্ট থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন প্যাঁচার দ্বীপ এলাকার কলিম উল্লাহর ছেলে আনসার উল্লাহ (২৪), আবদুল মুনাফের ছেলে আব্দুল গফুর (২০)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেলাল উদ্দিন (২৫) নামের আরও একজন পলাতক।
পুলিশ জানায়, রাতে কটেজে ঘুমানোর সময় অস্ট্রেলিয়ান এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তখন নারী পর্যটক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। এর প্রেক্ষিতে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে ভ্রমণে আসা তরুণী রোববার বিকেলে গুডভাইভ কটেজে ওঠেন। তিনি একাই ছিলেন। মধ্যরাতে স্থানীয় কয়েকজন যুবক কটেজের জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় যুবকরা। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রামু থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কটেজে নিরাপত্তাব্যবস্থার ত্রুটি এবং অব্যবস্থাপনার জন্য মালিক কাইয়ুম হক চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, রোববার রাত দেড়টার দিকে কটেজের জানালা দিয়ে তিন-চার বখাটে কক্ষের ভেতরে ঢুকে বিদেশি তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তরুণী তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। এরপর স্থানীয় হিমছড়ি ফাঁড়ির পুলিশ কটেজে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ওই বিদেশি তরুণীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। এর আলামতও পাওয়া গেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটন এলাকায় আবাসন কিংবা খাবারের কোনো প্রতিষ্ঠান করতে গেলে জেলা প্রশাসন থেকে সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক। অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটক অবস্থান করা ‘গুডভাইভ কটেজ’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠান আমরা অনুমোদন দেইনি। মারমেইড রিসোর্টের পরিচালক আনিসুল হক সোহাগের নেয়া অনুমোদন কাগজের অনুকূলে হয়তো তার ভাইয়রা ভিন্ন নামে কটেজ করে অবৈধভাবে ভাড়া দিয়ে আসছিল। বুধবার থেকে এসব বন্ধে অভিযানে নামবে জেলা প্রশাসন।
বাংলা৭১নিউজ/এইচএ