বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। তাই বলে মুশফিক-তামিমদের প্রস্তুতি থেমে নেই। অনুশীলন চলছে। বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচই জিততে চান। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সেকথা জানান টাইগারদের প্রধান কোচ-
প্রশ্ন : অনুশীলন ক্যাম্পে ফোকাসটা কোথায়?
হাথুরুসিংহে : আমাদের প্রধান ফোকাস ফিটনেস নিয়ে। গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর টানা ক্রিকেট খেলেছে ছেলেরা। ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুযোগ পায়নি। আমরা লম্বা বিরতি পেয়েছি। তাই ক্যাম্পে জোর দেয়া হয়েছে ফিটনেসের ওপর। এরপর ফোকাস স্কিলের দিকে। মার্ক (ও’নিল) ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে। সে লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়েও কাজ করছে।
প্রশ্ন : এ মৌসুম নিয়ে কী চিন্তা?
হাথুরুসিংহে : আমার মনে হয়, টেস্টে আমরা কিছুটা এগিয়েছি। আমরা এখন জানি যে, অন্তত উপমহাদেশে জেতার মতো ম্যাচ পরিকল্পনা আমাদের আছে। সেটা করে দেখিয়েছিও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্টে অবশ্যই জিততে চাই। আমরা মনে করি, নিজেদের কন্ডিশনে আমরা যথেষ্ট লড়াকু দল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে ম্যাচ পরিকল্পনাও কঠিন হবে। ওই সফর নিয়েও পরিকল্পনা আছে আমাদের। দ্রুত মানসিক ও শারীরিকভাবে মানিয়ে নিতে হবে। টেস্টের আগে প্রথম দুই সপ্তাহে যে প্রস্তুতি ম্যাচ এবং যে সময়টুকু পাব, মানিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করব।
প্রশ্ন : দলে এখন অনেক তরুণ ক্রিকেটার। তাদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
হাথুরুসিংহে : আমরা বড় পরিকল্পনা করছি। ২০ জন খেলোয়াড় নিয়েই ভাবছি। বিশেষ করে আমার মূল লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ। সবাই এখন উচ্চ পর্যায়ে অনুশীলন করছে। তরুণ ক্রিকেটাররা যখন ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য অনুশীলন করে, তখন তাদের অবস্থানটা এত উচ্চ পর্যায়ে থাকে না। জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করার সময় তারা বুঝতে পারে প্রতিযোগিতা কী জিনিস। আমি চাই না দলে কেউ নিজের জায়গা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকুক।
প্রশ্ন : দলের অন্য কোচদের ভূমিকা কেমন দেখছেন?
হাথুরুসিংহে : একেকজনের ভূমিকা একেকরকম। চম্পাকা পেস বোলিং কোচ, ম্যাকগিল স্পিন বোলিং কোচ, ও’নিল ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ। ম্যাকগিলের তিন মাসের জন্য আসার কথা। সে যদি ভালো করতে পারে তাহলে দীর্ঘমেয়াদের জন্য চুক্তিবদ্ধ হবে। সব কোচের ক্ষেত্রে একই নিয়ম। কালপাগে চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের স্পিন বোলিং কোচ নেই। তাদের সবার ভূমিকা আমার কাজটা সহজ করে দেয়। তারা জানে কী করতে হবে। আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি তাদের স্বাধীনতা, সুযোগ এবং পরিবেশ- সবই দেয়ার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন : কোচিংয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
হাথুরুসিংহে : দীর্ঘ সময়ে থাকাটা নির্ভর করে সাফল্যের ওপর। আমি যদি এখানে আরও বেশি উন্নতি করতে পারি, তাহলে আরও বেশিদিন থাকতে পারব। একই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। জানতে হবে কোচের কাছে তাদের চাহিদাটা কী। আমার কাজটা হল দলের উন্নতি।
প্রশ্ন : সামনের মৌসুমে কী উন্নতি আশা করছেন?
হাথুরুসিংহে : আমরা আগে ঘরের মাঠে জিততে শুরু করেছি। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রুফির সেমিফাইনালে খেলেছি আমরা। আমাদের এখনও অনেক উন্নতির জায়গা আছে। আমাদের লক্ষ্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামে অনুশীলন ক্যাম্প …?
হাথুরুসিংহে : আমি আসার পর মিরপুরে আমরা হাই ইনটেনসিটিতে অনুশীলন করিয়েছি, পরের দিন হালকা এবং সোমবার সাধারণ অনুশীলনের পর মঙ্গলবার বিশ্রাম। শুক্রবার চট্টগ্রামে যাব। ঢাকায় ফিরে আবার প্রস্তুতি শুরু করব।
প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লক্ষ্য কী?
হাথুরুসিংহে : আমাদের চ্যালেঞ্জটা হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাত্র অল্প ক’দিন পরই দক্ষিণ আফ্রিকায়
যাওয়া এবং সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। দক্ষিণ
আফ্রিকা আমাদের জন্য অপরিচিত। শুধু আমাদের নয়, সব দলের
জন্যই ওখানে গিয়ে খেলাটা কঠিন। টেস্টের এক নম্বর দল ওরা। ওটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস