বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: অল্প বয়সেই অনেকের মুখে বলিরেখা ও বয়সের চিহ্ন পড়তে দেখা যায়। আর বয়স যত বাড়তে থাকে ততই যেন এই রেখাগুলি সৌন্দর্য হ্রাস করতে থাকে। তখন বলিরেখা নিয়ে চিন্তায় পড়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের নিচে রয়েছে কোলাজেন ও ইলাস্টিন ফাইবার। যা আমাদের ত্বক টান টান রাখে। বয়স বাড়তে থাকলে এই ফাইবার ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। ফলে ত্বক পাতলা ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এর ফলে ত্বকে দেখা দেয় শুষ্ক ভাব, গড়ে উঠে ভাজ যাকে বলিরেখা বলা হয়।
শুধু বয়সের কারণেই যে বলিরেখা হয়, সেটাও নয়। অসুস্থতা, পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, মদ্যপান, রোদে সুরক্ষা ব্যবহার না করা, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, এলোমেলো জীবন যাপন ইত্যাদি অনেক কারণেই ত্বকে বলিরেখা দেখা যায়।
সাধারণত মুখে এবং ঠোঁটের চারপাশে চোখের নিচে বেশি বলি রেখা পড়ে।
অনেকেই মনে করেন যে বলিরেখার প্রধান কারণ বয়স। অর্থাৎ যার বয়স বাড়তে থাকবে তার শুধু মাত্র বলিরেখা থাকবে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। বলিরেখার প্রধান কারণ হল সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি।
প্রথম থেকেই এর চিকিৎসা করা একান্ত প্রয়োজন। বেশি টাকা খরচ না করে বয়সজনিত এই রেখাগুলো মিলিয়ে দিতে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজ করে। বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়! তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নিই বলিরেখা কমাতে ঘরোয়া নানা উপাদান ২০ মিনিটে কীভাবে কাজ করে।
এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, বরং উল্টা বলিরেখাসহ ত্বকের নানা সমস্যা কমে যায়।
বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো :
দুধ-গোলাপ জল : সম পরিমাণে দুধ এবং গোলাপ জল মেশান। এবার সেই মিশ্রণে একটা তুলো চুবিয়ে বলিরেখার ওপরে রাখুন। ২০ মিনিট তুলাটা রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ত্বককে টানাটান করে। ফলে বলিরেখা আপনা থাকেই চলে যায়।
পুদিনা পাতা ও লেবুর রস : এক মুঠো মিন্ট পাতা থেঁতো করে নিন, তারপর তাতে দু চামুচ লেবুর রস মেশান। এবার একটা তুলো নিয়ে এই মিশ্রণে চুবিয়ে যেখানে যেখানে বলি রেখা দেখা দিয়েছে, সেখানে লাগান।২০ মিনিট তুলাটা লাগিয়ে রেখে সারা মুখ ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
এই দুটি উপাদান মিলিয়ে যদি চোখের নিচে লাগানো যায়, তাহলে বিলরেখার কমার পাশাপাশি ত্বক টানটান হয়ে সৌন্দর্যও বেড়ে যায়।
আনারসের রস -গোলাপ জল : সম পরিমাণে আনারসের রস এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর তাতে একটা তুলার বল ডুবিয়ে চোখের তোলায় ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাই তো ত্বকের বয়স কমাতে অনারস রসের কোনও বিকল্প নেই।
আঙ্গুরের তেল-লেবু : ২-৩ আঙ্গুরের তেল নিয়ে এক চামুচ লেবুর রসের সঙ্গে মেশান। তারপর একটা তুলা সেই মিশ্রণে ডুবিয়ে বলিরেখার ওপর লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিস থাকার কারণে বলিরেখা দূর করতে আঙ্গুরের তেল দারুন কাজে আসে। আর লেবুর রসের সঙ্গে যদি এই তেল ব্যবহার করা যায় তাহলে বলিরোখা হাওয়া হয়ে যায়।
অ্যালোভেরা : ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমাতে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে অ্যালোভেরা। তাই তো বলিরেখা দূর করতে এটি মুখে লাগানো যেতেই পারে।
এছাড়া এক চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো দই এবং এক চিমটে ভিটামিন- সি পাউডার মিশিয়ে চোখের তলায় লাগান। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পনি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিম : বলিরেখা কমাতে ডিমের সাদা অংশ মধু ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি চোখের নিচে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এই তিনটি উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে।
বাংলা৭১নিউজ/এম