বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইমন হত্যা মামলায় তাঁতী লীগ নেতা ইকবাল গ্রেপ্তার নুহাশপল্লীতে জ্বললো এক হাজার ৭৬টি মোমবাতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা: সংস্কৃতি উপদেষ্টা যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ৩ বাংলাদেশি আটক শেরপুরে পিকআপ-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩ সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পূবালী ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ মুক্তিপণ ছাড়া মুক্তি মেলে না টেকনাফে অপহৃতদের লেবানন-তিউনিশিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৬১ প্রবাসী পরিবেশের সুরক্ষার জন্য এক নতুন জীবনধারা প্রয়োজন বাজারে এমন বিশৃঙ্খলা ট্যাক্স কমিয়েও দাম কমছে না: অর্থ উপদেষ্টা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ির উপর উঠে গেল আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিষপানে দুই শিশুসহ মায়ের মৃত্যু পাকিস্তানে বিয়ের বাস নদীতে পড়ে নিহত অন্তত ১৪, বেঁচে আছেন নববধূ আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট উপদেষ্টা নিয়োগের সম্পূর্ণ এখতিয়ার প্রধান উপদেষ্টার: ফখরুল ;ফখরুল নেপাল-ভুটানের জলবিদ্যুৎয়ের জন্য দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির আহ্বান কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে শেখের ছবি সরানো হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রোজি কবির আর নেই

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে, রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ-টু-আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ-টু-আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

 

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি লিভ-টু-আপিলের ওপর শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ-টু-আপিল করেন খালেদা জিয়া।

 

এরও আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।

সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই রায়ের আগের দিন ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এখন পেপারবুক তৈরি হলে আপিল শুনানি হবে।

যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com