উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, এই দেশ কৃষকদের দেশ, কৃষিপ্রধান দেশ। অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই কৃষকের সন্তান। কিন্তু এই কৃষকরা অভ্যুত্থানের পর কোনোভাবেই আলোচিত না।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের চিলমারীর সফিউল আলম রাজা স্টেডিয়াম মাঠে হাট ও ঘাটে ইজারা প্রথা বাতিল, নদীভাঙন রোধ, কৃষকের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণসহ ১২ দফা দাবিতে উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য যেদিকে এগিয়ে নেওয়া দরকার সেটি হচ্ছে কৃষি ও কৃষক। তাদের কীভাবে পরিবর্তন হবে? তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা। এসব নিয়ে আমরা সরকারের বিভিন্ন স্তরে কথা বলেছি। ঢাকায় সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা করেছি। তাতে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন উপদেষ্টা আগ্রহী হলেও পুরো সরকারের মনোযোগটা আমরা এদিকে আকৃষ্ট করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্রপীড়িত এই কুড়িগ্রামের কৃষকরা সবসময় ফ্রেমের বাইরে থেকে যাচ্ছে। প্রথমত তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টির মধ্যে আনতে হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা আজ নানাভাবে ভুগছে। কৃষকরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে।
কৃষকরা ফুলকপি বিক্রি করছেন দুই টাকা করে আর বাজারে ভোক্তারা কিনছেন ৩০ টাকা করে। এতে করে একদিকে ভোক্তারা আর অন্যদিকে উৎপাদকেরা ঠকছেন। এই মধ্যবর্তী সিন্ডিকেট থেকে কৃষকদের মুক্ত করা দরকার, পুরো দেশকে মুক্ত করা দরকার। সেই দাবি থেকে আজকের এই উত্তরবঙ্গের কৃষক সমাবেশ করতে বাধ্য হচ্ছি।
এ সময় উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য রাখাল রাহা, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাছির উদ্দিন, নগর পরিকল্পনাবিদ খন্দকার মিয়াজ রহমান প্রমুখ।
সমাবেশকে ঘিরে বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক কৃষক এই মহাসমাবেশ যোগ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম