সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

অভ্যুত্থানের খবরে ওজু করে নামাজে দাঁড়ান এরদোগান

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: তুরস্কে ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় প্রেসিডেন্ট এরদোগান দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের মারমারায় অবকাশ যাপন করছিলেন। অভ্যুত্থানের খবর পেয়ে এরদোগান প্রথমেই ওজু করে নামাজ পড়ে নেন। এরপর তিনি দ্রুত ইস্তাম্বুলের পথে যাত্রা শুরু করেন। তখন এরদোগানের সঙ্গে তার স্ত্রী, মেয়ে, মেয়ের জামাই, নাতি-নাতনিরা ছিলেন।

অভ্যুত্থানচেষ্টায় ৮টি হেলিকপ্টারসহ ও ৩৭টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। যা দেশটির সামরিক বাহিনীর হাতে থাকা মোট হেলিকপ্টারের মাত্র ২ দশমিক ৭ ভাগ।

এছাড়া ৭৪টি ট্যাংক ও ১৭২টি সাজোয়া যান ব্যবহৃত হয়েছিল। বিদ্রোহীরা তিনটি জাহাজও ব্যবহার করেছিল। অভ্যুত্থানে ২৪৬ বেসামরিক এবং নিরাপত্তা সদস্য নিহত হন।

গত রোববার (১৫ জুলাই) এরদোগানকে উৎখাত চেষ্টার দুই বছর পালিত হয় । এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তুর্কি দূতাবাসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্যর্থ অভ্যুত্থান উলক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-জাজিরাও বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়া ডেইলি সাবাহ, ইয়ানি শাফাক ও তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদলু এজেন্সি বেশ কিছু বিশেষ প্রতিদেবন প্রকাশ করেছে।

ডেইলি সাবাহার একটি খবরে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থান শুরু আগেই খবর পান এরদোগান। কিন্তু তার মধ্যে কোনো অস্থিরতা দেখা যায়নি। অত্যন্ত শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন।

এরদোগানের মেয়ের জামাই বেরাত আলবেরাক শীর্ষস্থানীয় নিউজ নেটওয়ার্ক তুর্কোভাজ মিডিয়াকে অভ্যুত্থানচেষ্টার সময়কার অবস্থা জানান।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান পুরো রাত ছিলেন শান্ত ও সংযত। তিনি দ্রুত বিমানযোগে ইস্তাম্বুল ফিরতে চাইছিলেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, আমাদের ওপর দিয়ে তিনটি হেলিকপ্টার পর্যবেক্ষণমূলক টহলে ছিল। আমরা একইসঙ্গে জাতীয় মিডিয়াগুলোতে ফোন করতে থাকি, কী ঘটেছে তা জানতে। আমরা ফোনের মাধ্যমেই কেবল সরাসরি সম্প্রচার করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে হত্যার জন্য তিনটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল। তবে তারা এরদোগানের অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। খবর আল-জাজিরার।

হেলিকপ্টার তিনটি যখন অভিযানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তখন এরদোগান দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের মারমারায় অবকাশ যাপন করছিলেন। সেখানেই তাকে হত্যা কিংবা বন্দি করার জন্য হেলিকপ্টারগুলো পাঠানো হয়েছিল।

খবরে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থান চেষ্টার প্রক্রিয়া শুরু হবার এক ঘন্টা আগে দেশটির ফার্স্ট আর্মির কমান্ডার উমিত দান্দার এরদোগানকে অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার বিষয়টি জানাতে পেরেছিলেন।

ওই খবর পেয়ে এরদোগান নিজের নিরাপত্তার জন্য হোটেল ত্যাগ করেছিলেন। ফলে বিদ্রোহী সৈন্যরা ওই হোটেলে পৌঁছে এরদোগানকে পাননি।

খবরে বলা হয়েছে, এরদোগান হোটেল ত্যাগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৪০ জন বিদ্রোহী সৈন্য দ্রুত ওই হোটেলে প্রবেশ করে। কিন্তু এরই মধ্যে এরদোগান ইস্তাম্বুলের পথে রওয়ানা হয়ে যান। আর হোটেলেই থেকে যান প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীরা।

ফলে হোটেলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীদলের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে বিদ্রোহী সৈন্যরা পরাজিত হয়। দেহরক্ষীদের আক্রমনে বিদ্রোহীদের একটি হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত হয়। বিদ্রোহীরা পার্বত্য এলাকায় পালিয়ে জীবন বাঁচায়।

এদিকে অভ্যুত্থানচেষ্টার দুই বছর পূর্তিতে টার্কিশ জেনারেল স্টাফের প্রেস অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্ট একটি বিবৃতি দিয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে উৎখাতের ওই ব্যর্থ চেষ্টায় ৮ হাজার ৬৫১ জন সৈনিক জড়িত ছিল। এর ১ হাজার ৬৭৬ জন সৈনিক অফিসারদের আদেশে অভ্যুত্থানে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১ হাজার ২১৪ জন ক্যাডেট।-খবর ডেইলি সাবার/এরাবিয়ান জার্নাল।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com