দক্ষিণ কোরিয়ার সাময়িক বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে দেশটির তদন্তকারীরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানোয় সিউলে ফের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে কয়েক ঘণ্টার নাটকীয় পরিস্থিতির পর ইউনকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির আদালত ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ইউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং বিদ্রোহ উসকে দিয়েছেন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হলেও তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হতে বারবার অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। যার কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তবে শেষমেশ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির তদন্তকারীরা বলেন, তারা ইউনকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন।
দেশটির দুর্নীতিবিরোধী করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস (সিআইও) এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার বিষয়ে, এটি নির্ধারিত হয়েছে যে চলমান অচলাবস্থার কারণে গ্রেপ্তার কার্যকর করা অসম্ভব ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে ইউনের কার্যালয়ে হাজির হয় তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সিউলের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় ৬৪ বছর বয়সী ইউনকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা শুরু করেন তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানায়, এই টিমে ১২০ জন পুলিশ সদস্য এবং সিআইও- এর ৩০ জন কর্মকর্তা ছিলেন। এর মধ্যে ৮০ জন প্রেসিডেন্টের বাসভবনের মূল কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেন এবং বাকি সদস্যরা বাইরে পাহারায় ছিলেন।
তবে গ্রেপ্তার ঠেকাতে তদন্ত দলটিকে বাধা দেওয়া শুরু করে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনী। তারা এর আগেও ইউনের অফিস এবং বাসভবনে তল্লাশি চালানোর প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছিল। শেষমেশ ইউনকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে সিআইও।
বাংলা৭১নিউজ/এবি