সারাদেশে যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতি চিহ্ন তৈরি করছে সরকার বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে জুলাই গণআন্দোলনের শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়ক নামকরণ ও টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে জুলাই স্মৃতি ফলক উদ্বোধন শুরু হয়েছে। এর ফলে সারাদেশের মানুষ ও আগামী প্রজন্ম তাদের অবদানের কথা স্মরণ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ যেভাবে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সবসময় তাদের স্মরণ করতে পারে আমরা সেই উদ্যোগ চালিয়ে যাব।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম প্রমুখ।
জানা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এটি ব্যবহার করতে টাকা দিতে হচ্ছে। নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায় করা হবে এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এই টোল আদায় করবে।
পরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে। চূড়ান্ত হওয়া টোলের হার অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশা পারাপারে দিতে হবে ৩০ টাকা, প্রাইভেটকারকে দিতে হবে ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা। পিকআপ ট্রাক ১৫০ টাকা, মিনি বাস ও ট্রাক থেকে ২০০ টাকা করে এবং বাস থেকে আদায় করা হবে ২৮০ টাকা।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ সাত বছরেও পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি সিডিএ। উড়াল সড়কে ওঠা-নামার জন্য ১৫টি র্যাম্প নির্মাণ করার কথা থাকলেও সরকার পরিবর্তনের পর বাদ দেওয়া হয়েছে পাঁচটি। বাকি ৯টির মধ্যে একটির কাজ শেষ হয়েছে। অন্য আরেকটি র্যাম্পের কাজ চলমান আছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ উড়াল সেতু নির্মাণ করে।
বাংলা৭১নিউজ/একে