বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত পণ্যের শুল্কে পরিবর্তন আনবে না সরকার অংশীজনরা কী চান তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কবে হবে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া ২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫

অভিযানে মিলেছে সত্যতা হাসপাতালে কর্মী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। প্রতিটি নিয়োগে ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা নেয় হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে। 

বুধবার (১০ মে) এ অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সেখানকার ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানে হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ওয়ার্ড বয়, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী ও সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য নেওয়া হয়।

সূত্র আরও জানায়, সেখানে কর্মরত কর্মচারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ওয়ার্ড বয়, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নগদ টাকা নিয়েছেন বিরাজ হোসেন। তার রুম তল্লাশি করে বেশ কিছু ফাইল পাওয়া যায়। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ফাইল পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন আবেদনকারীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার বিরাজ হোসেন। ঘুষের টাকাগুলো তিনি গলফ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু টাকা নিয়েও তার সুপারিশ করা আবেদনকারীদের নিয়োগ দেননি তারা। তাই বর্তমানে আবেদনকারীদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে দুদক টিমের কাছে দাবি করেন বিরাজ হোসেন। 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ওয়ার্ড মাস্টার জানান, হাসপাতালে বিনা বেতনে কাজ করছেন প্রায় ৯০ জন কর্মচারী। সে কারণে হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ট্রলি ভাড়া নিয়ে থাকেন এসব কর্মচারীরা। এছাড়া মর্গ থেকে মরদেহ নিতে আসা স্বজনদের কাছ থেকে চার হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় রোগীদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সম্প্রতি আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া প্রথম শিফটে কর্মরত অধিকাংশ কর্মী স্বীকার করেন, নিয়োগ পেতে গলফ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়েছে তাদের। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com