বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অভিবাসন বিষয়ক বৈঠকে কয়েকটি দেশ সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন সে নিয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার অভিবাসন সম্পর্কে হোয়াইট হাউজের একটি বৈঠকে ট্রাম্প বিধায়কদের বিস্মিত করে দেন যখন তিনি হেইতি এবং আফ্রিকান দেশগুলোকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হচ্ছে তিনি অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএন সহ বিভিন্ন মিডিয়ার খবর অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নাকি প্রশ্ন করেন আমরা কেন এই সব দেশ থেকে লোকজনকে আসতে দিচ্ছি। দেশ শব্দটির আগে তিনি একটি অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন বলে মিডিয়া জানাচ্ছে। এই শব্দটি তিনি নোংরা ও দারিদ্র জর্জরিত অর্থে ব্যবহার করেন।
ট্রাম্প বলেন যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ হবে নরওয়ের মতো দেশ থেকে আরো লোক এখানে আসতে দেওয়া। তিনি বুধবার হোয়াইট হাউজে নরওয়ের প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
আফ্রিকান ইউনিয়ন বলেছে তারা প্রেসিডেন্টের এই বিবৃতিতে সত্যি সত্যিই শঙ্কিত। আফ্রিকান ইউনিয়নের মুখপাত্রী এবা কালোন্দো এসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন এই ঐতিহাসিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে যে কত আফ্রিকান, যুক্তরাষ্ট্রে দাস হিসেবে গিয়েছিল, এই বিবৃতি গ্রহণযোগ্য আচরণের পরিপন্থি।
তিনি বলেন এটা বিশেষ করে বিস্ময়কর যখন যুক্তরাষ্ট্রই হচ্ছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যে কী ভাবে অভিবাসিদের সমন্বয়ে একটি জাতি গঠিত হতে পারে বৈচিত্র ও সুযোগের শক্ত মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে। আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস ও ট্রাম্পের মন্তব্যকে তাদের কথায় খুবই আপত্তিজনক বলে অভিহিত করেছে। বলা হচ্ছে হেইতি প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তাকে তাদের দপ্তরে ডেকে পাঠিয়েছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার টুইটারে অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে বৃহস্পতিবারের ঐ সভায় উপস্থিত ইলিনয়ের সেনেটর ডিক ডারবিন নিশ্চিত করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা ছিল “ঘৃণাত্মক, নিন্দনীয় এবং বর্ণবাদী”।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ভোয়া/এসএস