বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকারের নির্দেশে তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। এ কমিশন অবৈধ সরকারের তৈরি ফরমায়েশি নির্বাচন কমিশন। তারা অবৈধ, তাদের তফসিল মানা হবে না। সেটাও অবৈধ হবে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) এক দফা দাবিতে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ কমিশন নিশিরাতের ভোটের সরকারের মনোনীত কমিশন। আমরা হুঁশিয়ার করতে চাই, এ সরকারের অদেশ মেনে যে কাজ করছেন অন্যায় করছেন। আপনারা আওয়ামী লীগের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী, জনগণের নিয়োগপ্রাপ্ত কেউ নন। আপনাদের কোনো সাংগঠনিক অধিকার নেই নির্বাচন করার। যদি করতে চান, তবে আমরা সেটা প্রতিহত করবো। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। তারা সরাসরি গুলি করছে। এ স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ ফ্যাসিবাদীদের যতদিন ক্ষমতায় রাখা হবে, দেশের ততই ক্ষতি। যত তারাতারাতি সম্ভব এদের বিদায় করতে হবে।
এখন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে সরকার পতনের করার চেষ্টা করছি। তবে, কেউ অশান্তি করলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেবো।
আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।
এর আগে এক দফা দাবিতে গণমিছিলে অংশ নিতে কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকায় জড়ো হন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
এক দফার চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকার দুই মহানগর থেকে একযোগে গণমিছিল বের করবে বিএনপি। একই দিন এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঢাকায় পৃথক মিছিল ও সমাবেশ করার কথা রয়েছে। দক্ষিণের গণমিছিলটি মুগদার কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে।
এরমধ্যে উত্তরের গণমিছিলটি উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগে আবুল হোটেলে সামনে গিয়ে শেষ হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ