মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে ভারত। দেশটির অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের (এটিএস) এবং রঞ্জনগাঁও এমআইডিসি পুলিশের অভিযানে এসব অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়
বুধবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু বাংলাদেশী নাগরিক রঞ্জনগাঁও এমআইডিসির পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে, পুনের গ্রামীণ এসপি পঙ্কজ দেশমুখের নেতৃত্বে যৌথ দল তল্লাশি চালায়। অভিযানের সময় ১৫ জন পুরুষ, চার নারী এবং দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
পুলিশের মতে, অভিযুক্তরা দেশে ভারতে অবস্থান দীর্ঘায়িত করার জন্য জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ভোটার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছিল। তারা কোনো বৈধ পাসপোর্ট কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল।
এসপি দেশমুখ বলেন, ২১ জন অভিযুক্তের মধ্যে নয়জনের কাছে জাল আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড পাওয়া গেছে, আর একজনের কাছে জাল ভোটার আইডি কার্ড ছিল। অভিযুক্তরা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছিল এবং নিয়মিত শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিল।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ২১ জনকে আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের মতে, অভিযুক্তরা ছয় মাস থেকে এক বছর ধরে এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার সাহেবনগর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার ৪১ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪০ জন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। বাকি এক জনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের কোথাও একসঙ্গে এত বিদেশী নাগরিক ধরা পড়েননি।
পুলিশের দাবি, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের কথা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে