বাংলা৭১নিউজ, সিলেট: সিলেটে কথিত প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কথিত প্রেমিক বদরুল ইসলাম শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ।
সোমবার বিকালে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজাকে ছুরিকাঘাত করেন বদরুল। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, চিকিৎসা চলাকালে রাত ১টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে খাদিজাকে সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
“খাদিজার মাথায়, হাতে ও পায়ে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথার ক্ষত গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।”
খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার পর পুলিশ বদরুলকে আটক করেছে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুনাইঘাতি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
শাহপরান থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি বলেন, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হলে খাদিজাকে ছুরিকাঘাত করেন বদরুল।
“বদরুলের সঙ্গে খাদিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক দিন ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বদরুল এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে এখনও মামলা হয়নি। মামলার পর পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানান ওসি শাহজালাল।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ বলেন, মামলা হলে বদরুলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এন