সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। তবে, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। অফিসে আসা-যাওয়ার পথে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষকে কিছু স্বস্তি দিচ্ছে মেট্রোরেল।
দীর্ঘ ১০ মাস পর পূর্ণতা পেয়েছে মেট্রোরেল। আগে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চললেও রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে এটি যাচ্ছে বাণিজ্যিক এলাকা বা অফিসপাড়া খ্যাত মতিঝিল পর্যন্ত। তাই এ অবরোধে ‘স্বস্তির বাহন’ মেট্রোরেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে ছেড়ে আসতে শুরু করে। উত্তরা থেকে ছেড়ে আসা প্রায় বেশিরভাগ মেট্রোরেলই ছিল যাত্রীর ভিড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পল্লবী স্টেশন থেকেই মেট্রোরেলে বসার জায়গা ছিল না। যাত্রীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। মিরপুর ১১ ও ১০ নম্বর স্টেশন থেকে আরও যাত্রী ওঠেন। এসময় বগিতে দাঁড়ানো নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা লক্ষ্য করা যায়।
কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশন থেকে ওঠেন আরও যাত্রী। এরপর মেট্রোরেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এসময় নারী যাত্রীদের উদ্দেশ্যে পুরুষ যাত্রীরা বলেন, আপনাদের জন্য তো আলাদা বগি আছে। জবাবে তারা বলেন, এ ভিড়ে ওই বগিতে যাওয়া সম্ভব না। এছাড়া বগিতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তবে ফার্মগেট গেলে কিছুটা কমবে যাত্রীর ভিড়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক চাকরিজীবী বলেন, সব দেশের মেট্রোতেই এমন ভিড় হয়। কারণ এটা আধুনিক গণপরিবহন। অফিস টাইমে এ ভিড় স্বাভাবিক। ভারতে দেখেছি, এছাড়া ভিডিওতে দেখেছি জাপানে পুলিশ যাত্রীদের চাপাচাপি করে দাঁড়াতে সাহায্য করে। হাত দিয়ে চেপে চেপে যাত্রী ঢোকায়। এখন এ ভিড় আমাদের দেশের মেট্রোতে দেখা যাচ্ছে।
মিরপুর ১০ নম্বর থেকে বাবাকে নিয়ে মেট্রোতে উঠেছেন আল-আমিন। যাবেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তিনি বলেন, বাবার চোখে সমস্যা। ভাবলাম ওনাকে নিয়ে একটু আরামে যাবো। এখন দেখি, অনেক যাত্রী। তাও দ্রুত আসতে পেরেছি এটাই ভালো লাগছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ