বাংলা৭১নিউজ,নাটোর প্রতিনিধি: অপহরনের ৪দিন পর গাইবান্ধা থেকে উদ্ধারকৃত নাটোরের বড়াইগ্রামের স্কুল ছাত্র বাবু এখন বাবা-মার কোলে। নাটোর ও গাইবান্ধা জেলা পুলিশের যৌথ অংশগ্রহনে এই শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযান সংঘটিত হয়।
এই ঘটনায় অপহনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন অপহৃত শিশুটিকে তার বাবা ও মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলিপ কুমার জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার কড্ডার মোড় এলাকার সোহাগ হোসেন সম্প্রতি মোবাইল ফোনে আগ্রাণ এলাকার সেকেন্দার আলীর স্ত্রী সাহিদা বেগমের ফোনে কল করে। মোবাইল ফোনে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহাগ সাহিদা বেগমকে ধর্ম বোন বানায়। এই সম্পর্কের জেরে গত ৫ এপ্রিল সোহাগ তার ৩ বন্ধু নিয়ে আগ্রানে সাহিদার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এক পর্যায়ে ৭ এপ্রিল সোহাগ সাহেদার ছেলে বাবুকে নিয়ে বেড়ানোর নাম করে নিখোঁজ হয়। এক পর্যায়ে সোহাগ বাবুর মুক্তিপণ হিসাবে ৩ লাখ টাকা দাবি করে।
এই ঘটনায় বাবুর পিতা সেকেন্দার আলী বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের সহায়তায় নাটোর জেলা পুলিশ বুধবার রাতে বাবু আহমেদকে গাইবন্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচামাড়া এলাকার নূরজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি নূর জাহান সহ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার সাতারপাড়া গ্রামে নার্গিস আক্তার এবং সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার বোরহান উদ্দিন এলাকার ইশান আহমেদ সোহাগকে আটক করা হয়। তবে পুলিশ সোহাগ হোসেন ও তার ৩ বন্ধুকে আটক করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার রাতে বাবু সহ আটক ৩ জনকে নাটোরে আনা হয়। রাতেই শিশুটিকে তার বাবা সেকেন্দার আলী ও মা সাহিদা বেগমের কাছে হাস্তান্তর করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি