বাংলা৭১নিউজ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়ায় স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যা মামলার দুই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন নাঈম ইসলাম (২৩) ও জোয়ার আলী (২৫)।
আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর ব্রিজের কাছে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্র দেবদত্ত হত্যার প্রধান আসামি নাঈম ইসলামকে গত ২৪ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। নাঈমের স্বীকারোক্তিতে গতকাল সোমবার বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেবদত্তের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ ভোরে নাঈমকে নিয়ে অন্য আসামিদের ধরতে উপজেলার চিথলিয়ার পাহাড়পুর ব্রিজের কাছে যায় পুলিশ। টের পেয়ে অপহরণকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাঈম ইসলাম ও জোয়ার আলী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) লাল চাঁদ, এসআই এমদাদুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমীন, এএসআই সাইফুল ইসলাম ও তিনজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত অপহরণকারী নাঈম ইসলাম ও জোয়ার আলী মিরপুর উপজেলার চিথলিয়ার বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন সকালে প্রাইভেট পড়তে বের হলে নিজ গ্রামের রাস্তা থেকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী চিথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র দেবদত্তকে অপহরণ করে।
অপহরণকারীরা সেদিন বিকেলে দেবদত্তের বাবার ফোনে তাঁর মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। গতকাল দুপুরে মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের নাঈম ইসলামের বাড়ির পায়খানার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেবদত্তের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস