মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব

অপরিপক্ক আমে মেশানো হচ্ছে কার্বাইড ও হরমোন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮
  • ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজার অপরিপক্ক  আমে সয়লাব। মেশানো হচ্ছে কার্বাইড ও হরমোন। এসব দিয়ে আমের রং সুন্দর করা হচ্ছে। কৃত্রিমভাবে পাকানো হচ্ছে আম। এমনিভাবে প্রতিদিন শত শত মন অপরিপক্ক আম বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এধরণের কাজ প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।

রোববার সকালে সুলতানপুর বড় বাজর ঘুরে দেখা দেখা গেছে, বাজারে মজুত রয়েছে শত শত মন অপরিপক্ক হিমসাগর ও গোপালভোগ আম। প্রতি মন আম ১৭শ থেকে ১৮শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছেঁ। খরিদদারের নজর কাড়তে ঝুড়ির উপর রাখা হয়েছে অল্প কিছু পরিপক্ক আম। আর ঝুড়ির  তলার দিকে রয়েছে অপরিপক্ক আম। খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার আগেই এসব আম বাজারজাত করা হচ্ছে বেশি মুনাফা পাওয়ার আশায় এমনটি জানিয়েছেন কয়েকজন আম ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, শুধু বেশি মুনাফা নয়, এবার ঝড়-বৃষ্টি বেশি হওয়ায় গাছে আম রাখাটা নিরাপদ মনে হচ্ছে না। যে কারণে একটু আগেই তা বাজারে তোলা হচ্ছে। তাদের দাবী হিমসাগর ও ন্যাংড়া  আম খাওয়ার উপযুক্ত সময় এখন না হলেও গোবিন্দভোগ আম খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সকল ব্যবসায়ীর বদনাম হচ্ছে বলেও তার্ াদাবী করেন।

উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার আমের সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশে। এমনকি বিদেশেও। গত চার বছর হিমসাগর ও ন্যাংড়া আম  বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তর প্রতিবছর আম চাষীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরাসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা দিয়ে আসছে। চলতি বছর সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায়  চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এরমধ্যে আমের বাগান রয়েছে সাতক্ষীরা সদরে ১৫৩০টি, কলারোয়ায় ১৩১০টি, তালায় ১৪৫০টি, আমের বাগান রয়েছে।দেবহাটায় ৪৭৫টি, কালিগঞ্জে ১৪২টি, আশাশুনিতে ১৯০টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০টি। আম চাষ হয়েছে সদর উপজেলায় ১১৯৫ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ৬০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টও, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১২৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে।

এদিকে, গত ৯ মে জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে আম ব্যবসায়ী, আমচাষি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৫ মে হিমসাগর ও ২৫ মে ন্যাংড়া আম বাজারজাত করতে । অথচ সে নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না। কার্বাইড ও হরমোন দিয়ে পাকানো হচ্ছে অপরিপক্ক আম। যা স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

গত ১১ মে শুক্রবার রাতে তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের নাংলা গ্রাম থেকে ১০০ মন  আম জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে তালা থানা চত্বরে এসব আম বিনষ্ট করা করা হয়।  রাসায়নিক হরমোন দিয়ে পাকানো এসব আম বিনষ্ট করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন জানান, সাতক্ষীরার আম সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। সুনাম ক্ষুন্ন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোক্তার অধিকার ক্ষুন্ন করে আম পাকাতে কেউ কার্বাইডের আশ্রয় নিলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করা হবে। সাথে থাকবে জরিমানার ব্যবস্থাও।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরার আম গুণে-মানে সুস্বাদু। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। এ জেলার মাটি আম চাষের উপযোগী। গত চার বছর ধরে এ জেলার আম ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। এবারও বাগান পরিচর্যা করা হচ্ছে বিদেশে আম পাঠানোর জন্য।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com