অপরাধ শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ফরেনসিক রিপোর্ট। অপরাধ সংঘটিত স্থানের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শনাক্ত করা হয় প্রকৃত অপরাধীদের। তবে খুলনায় এ ধরনের কোনো ল্যাব না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কার্যক্রম বেশ বিলম্ব হচ্ছিল।
অবশেষে গত সোমবার খুলনায় চালু হয়েছে সিআইডির বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি। এখান থেকেই খুলনা ও বরিশাল বিভাগের পুলিশ কেস ও কোর্ট মামলার আলামতসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করা হবে।
আগে এই দুই বিভাগের মামলার আলামতসমূহ ঢাকা ও রাজশাহী ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হত। সেখান থেকে বিশেষজ্ঞ মতামত আসতে বেশ বিলম্ব হতো।
অপরাধ শনাক্তে এ ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না। তবে নানা ধরনের মামলার আলামতসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবের খুলনার পুলিশ পরিদর্শক মোছা. মাহমুদা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনার ল্যাবে ১০ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এসব পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে রাসায়নিক পরীক্ষাগার: সব ধরনের মাদকদ্রব্য, মৃত মানুষ ও পশু-পাখির ভিসেরা, কবর থেকে উত্তোলিত হাড়, চুল, মাটি ও সফট টিসু, বিষাক্ত বা চেতনানাশক পদার্থের উপস্থিতি, রক্ত মিশ্রিত আলামতের রক্তের উপস্থিতি, এসিড মিশ্রিত আলামতে এসিডের উপস্থিতি, বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ, জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ক্যামিক্যাল প্রভৃতি আলামতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ