অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগ এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর গ্যারি চার্লস পিটার্সকে অবহিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মার্কিন সিনেটর সরকারের চলমান উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন সিনেটর গ্যারি চার্লস পিটার্স। এ সময় তারা বর্তমান সরকারের সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ, সাইবার নিরাপত্তা এবং জলবায়ু ইস্যু অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলোচনাকালে উভয়পক্ষ দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক, প্রযুক্তিগত বিনিময় এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মার্কিন সিনেটরকে বলেন, দেশে-বিদেশের কিছু মহল বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তিনি সিনেটরকে বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। সিনেটর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে শুনেন।
উপদেষ্টা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন এবং মিয়ানমারে তাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি চলতি বছরের শেষের দিকে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রোহিঙ্গা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন।
সিনেটর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর জোর দেন।
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স-সিডিএ) ট্র্যাসি জ্যাকবসন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ