বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ হল ৩ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবর্ষ থেকে এবার বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে সেনবাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ২ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল শুক্রবার অন্তর্বর্তী বাজেটে বলেন, এই অর্থ ছাড়াও দেশের সীমান্ত ও প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।
স্বাধীনতার পর এই প্রথম প্রতিরক্ষা খাতে তিন লক্ষ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার সময় একথা জানান মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, “২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে প্রথমবার সেনাদের জন্য তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হল। সীমান্ত সুরক্ষা ও অন্য খাতের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ থাকছে।” মজবুত সেনাবাহিনী ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও আপস করা হবে না।
ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশনের দাবি জানিয়েছিলেন জওয়ানরা। বিজেপি সরকারের আমলে সেনাকর্মীদের সেই দাবি পূরণ হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বাজেটেও ওয়ান ব়্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রসঙ্গ তুললেন পীযূষ গোয়েল। বললেন, “আমাদের সেনা, আমাদের গর্ব। ৪০ বছর ধরে ওয়ান ব়্যাঙ্ক ওয়ান পেনশনের দাবি পূরণ হয়নি। আমরা তা পূরণ করেছি। ইতিমধ্যে জওয়ানদের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের সরকার ২০১৪-১৫ অন্তর্বর্তী বাজেটে সেনাদের জন্য মাত্র ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল।”
বিজেপি সরকারের আমলে বারবার পাকিস্তান সীমান্তে হামলা হয়েছে। এখনও সীমান্তে পাকিস্তান সেনা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। সঙ্গে জঙ্গি হামলাও চলছে। তার ফলে শহিদ হয়েছে অনেক জওয়ান। তবে দেশের নিরাপত্তা আরও মজবুত করতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কেন্দ্র। সশস্ত্র সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় থাকে, তাদের জন্য মিলিটারি সার্ভিস পে ঘোষণা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তাঁরা বিশেষ ভাতা পান।
বাংলা৭১নিউজ/সংবাদ প্রতিদিন/এমআর